দুর্গা পুজো শেষ হয়ে গিয়েছে কিছু দিন আগেই। সদ্য লক্ষ্মী পুজোও পার। উৎসবের মরসুমে খরচের ধাক্কায় পকেটে লক্ষ্মীর দেখা মেলা ভার। এ দিকে দেখতে দেখতেই এসে যাবে কালী পুজো। তার পরেই ভাইফোঁটা। মানে আবার টান সেই পকেটেই। মাঝখানে সময় মাত্র এক পক্ষের। কী করলে ফিরবে পকেটের হাল? এই প্রতিবেদনে রইল লক্ষ্মী লাভের কিছু উপায়।
লক্ষ্মীকে স্মরণ করে মন্ত্র ও জপ করুন: অর্থাভাব দেখা দিলে আটার ১০৮টি গুলি বানিয়ে নিজের ইষ্ট দেবতাকে স্মরণ করুন। ১০৮টি আলাদা গুলি বানিয়ে লক্ষ্মী মন্ত্র জপ করুন এবং লক্ষ্মী পূজা করুন। আটার গুলি ১০৮ দিন নদীতে বা পুকুরে মাছেদের খাওয়ালে অর্থ লাভের যোগ তৈরি হয়। তবে খেয়াল রাখবেন যেন আটার গুলিতে বেশি ধুলো বা নোংরা না পড়ে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।
তুলসী গাছ রাখুন বাড়িতে: বাস্তু বা ফেংশুই-দু'টি মতেই তুলসী গাছ খুব শুভ। তুলসীকে লক্ষ্মীর অবতার বলেও মনে করা হয়। তাই তুলসী গাছ বাড়িতে থাকলে যে সুখ সমৃদ্ধি বাড়বে, তা নতুন করে বলে দিতে হয় না। পুরাণ মতেও, যে বাড়িতে নিত্য তুলসী গাছ পুজো করা হয় সে বাড়িতে সুখ সমৃদ্ধি বজায় থাকে। তাই অনেক বাড়িতেই তুলসী তলা বা তুলসী মঞ্চ থাকে। পরিবার থেকে অশুভ ছায়া দূরে রাখতে তাই বাড়িতে রাখতে পারেন তুলসী গাছ। এই গাছের অবদান চিকিৎসা শাস্ত্রেও সুদূর প্রসারী। তবে সঠিক নিয়ম মেনে প্রয়োজনে বাস্তু বিদের সঙ্গে কথা বলে তবেই বাড়িতে রাখুন তুলসী গাছ। না হলে কিন্তু বাড়তে পারে বিপদও।
ঘর পরিষ্কার পরিছন্ন রাখুন: বাস্তু মতে ঘরের কার্পেটে ধুলো জমে থাকলে সেখান থেকে নেতিবাচক শক্তি নির্গত হয়। তাই চেষ্টা করুন কার্পেট পরিষ্কার রাখার। নোংরা জামাকাপড় বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে না রাখাই ভাল। তাতে ইতিবাচক শক্তি কমে যায়। বুধবার গণেশ পুজো করতে পারেন, বৃহস্পতিবারে লক্ষ্মী পুজো। তাতে অর্থ লাভের যোগ তৈরি হয়।