সারা বছর জুড়েই মেদ ঝরানোর প্রতি আকর্ষণ থাকে সকলেরই। বিশেষ করে পুজোর আগে তো বটেই! শরীরচর্চা তো রয়েছেই, সঙ্গে আরও কয়েকটি পদক্ষেপ করলেই পেতে পারেন নির্মেদ সুঠাম চেহারা। এই যেমন আপনি ভরসা রাখতে পারেন আপনার রান্নাঘরের খুব সাধারন একটি উপাদানের পুষ্টিগুণের উপর, যার সাহায্যে পুজোর আগে আপনি সহজেই ঝরিয়ে ফেলতে পারেন বেশ কয়েক কেজি। সেটি হল – এলাচ।
ওজন কমানো হোক কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি – নানারকমের উপকারে আসে এই এলাচ। এলাচের পুষ্টিগুণ অনেক। সেই গুণই আরও অনেকটা বেড়ে যায় যদি তা সঠিক ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। রোজ এলাচের ব্যবহারে কী ধরনের উপকার পাওয়া যায়? কী ভাবেই বা এলাচ ব্যবহার করলে বেড়ে যায় পুষ্টিগুণ?
কী ভাবে বানাবেন ম্যাজিক ওয়াটার:
রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস জলে সাত-আটটি এলাচ দানা ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে জলটি ছেঁকে নিন। তারপরে খালি পেটে সেই জল খেয়ে ফেলুন। ভেজানো এলাচগুলি পরে আপনি রান্নাতেও ব্যবহার করতে পারেন।
উপকারিতা জেনে নিন এলাচ জলের:
রোজ সকালে এলাচ জলে ভিজিয়ে খেলে খুব সহজে ঘরোয়া উপায়ে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এতে দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। মেদ ঝরানোর পাশাপাশি যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা এই জল নিয়মিত সকালে খেলে দারুণ উপকার পেতে পারেন।
ওজন কমানোর জন্যও এই জলের জুড়ি মেলা ভার। ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাড়িতেই অতিরিক্ত শরীরচর্চার চাপ না নিয়ে অত্য়ন্ত সহজেই ওজন কমানোর নেপথ্যে এলাচ জলের উপকারিতা এক কথায় অনস্বীকার্য। পুজোর আগে থেকে রুটিন মেনে এই জল খেলে চোখে পড়ার মত ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবেন পুজোর আগেই। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন শারীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়াকেও সচল রাখে এই জল।
শুধু তাই নয়। নিয়মিত এলাচ জল সেবনে ত্বক ভাল থাকে। বয়সের তুলনায় মুখে ক্লান্তির ছাপ দেখা দিলে বা বলিরেখার পরিমাণ বেড়ে গেলে খালি পেটে অবশ্যই এই জল খান। এতে ত্বক টানটান হয়, বলিরেখাও দৃশ্যমানভাবে কমে যায়।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের অংশ।