বাঙালি বাড়িতে লক্ষ্মী পুজোর দিনে আল্পনার এক বিশেষ ভূমিকা আছে। চালের গুঁড়ো গুলে সুন্দর মোটিফ এবং ফুলের নকশায় তুলো ভিজিয়ে বা তুলির টানে আঁকা হয় আল্পনা। সাধারণত প্রতিমার সামনে মেঝেতে বা ঘরের প্রবেশপথে দরজার সামনে আল্পনা দেওয়া হয়ে থাকে। এই নকশাগুলি আঁকা যেমন সহজ, তেমনই দেখতেও লাগে আকর্ষণীয়।
ইদানীং অনেকেই নকশা আঁকার জন্য কাপড় বা তুলোয় আঙুল মোড়ানোর পরিবর্তে তুলি ব্যবহার করেন। এতে নকশার আকার সুন্দর হয়।
লাল এবং হলুদ রঙের মিশেলে সাবেক আল্পনা আঁকা যেতে পারে। আল্পনাগুলো দেখতে এত সুন্দর লাগে যে, সবার নজর কাড়বেই।
বাড়ির কোনও ঘরে বেশি জায়গা থাকলে মেঝের একদম মাঝখানে বৃত্তাকার নকশা আঁকুন। তা ঘরের চেহারাই বদলে দেয়।
মাছ এবং অন্যান্য মোটিফ দিয়ে আল্পনা সাধারণত প্রধান দরজার কাছাকাছি আঁকা হয়।
আল্পনা আঁকার পরে তার উপরে ফুল দিয়ে ভরাট করলে বেশ অন্য রকম দেখায়।
তবে আল্পনা আঁকতে চাই ধৈয্য এবং দক্ষতা। তাড়াহুড়ো করে আঁকলে নকশা অন্য রকম দেখতে হয়ে যেতে পারে।
এ রকম আল্পনা যেখানে দেবীকে অধিষ্ঠান করানো হয়, সেখানে আঁকা হয়। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।