প্রতীকী ছবি।
ধূমপান বা মদ্যপানের মতো কিছু বদভ্যাস স্বাস্থ্যের পক্ষে যতটা ক্ষতিকর, হাঁটাচলা না করা বা শরীরচর্চা না করাও ততটাই ক্ষতিকর। প্রত্যেক বছর শরীরচর্চার অভাবে অকালমৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ডায়াবিটিস বা তামাকের কারণে যত মানুষের মৃত্যু হয়, শরীরচর্চার অভাবে মৃত্যুর সংখ্যা তার চেয়ে বেশি। আপনি যদি নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তা হলে রুটিনের বাইরে গিয়ে কয়েক দিন বিরতি দিতেই পারেন। কিন্তু যদি বহু দিন বাদ পড়ে যায়, বিশেষ করে মাস খানেকের বেশি, তা হলে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
প্রতীকী ছবি।
দুর্বল হৃদ্যন্ত্র
নিয়মিত শরীরচর্চা করলে হৃদ্যন্ত্র সচল থাকে। রক্ত চলাচলও ভাল হয়। শরীরচর্চা করলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমে। তবে শারীরিক পরিশ্রম যত কম করবেন, নিত্য দিনের কাজ করতে গিয়ে বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। আপনার হৃদ্যন্ত্রও ঠিক করে কাজ করা বন্ধ করে দেবে ধীরে ধীরে। সহজেই হাঁপিয়ে যাবেন। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। হৃদ্স্পন্দনও অস্বাভাবিক হয়ে পড়বে।
দুর্বল মাংসপেশি
আমাদের শরীরের মাংসপেশি আরও শক্তিশালী করে তোলার পিছনে শরীরচর্চার একটি বড় ভূমিকা পালন করে। দীর্ঘ দিন তা বন্ধ রাখলে মাংস পেশিগুলি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে। এতে শারীরিক দুর্বলতাও অনেক বেড়ে যাবে। সামান্য ভারী জিনিস তুলতেও কষ্ট হতে পারে।
ঘুমের সমস্যা
অনেকেই বিশ্বাস করতে চান না, এক টানা ভাল ঘুমের জন্য শরীরচর্চা কতটা জরুরি। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীরে কর্মক্ষমতার অভাব হবে না। সারা দিন আরও স্ফূর্তিতে কাজ করতে পারবেন। এবং রাতেও নির্বিগ্নে ঘুমোতে পারবেন।
রক্তে শর্করার মাত্রা
দীর্ঘ দিন শারীরিক পরিশ্রম না করলে রক্তে শর্করার মাত্রায় হেরফের হয়ে যেতে পারে। এতে টাইপ টু ডায়াবিটিসের আশঙ্কা বেড়ে যায়। শরীরচর্চা অভাবে কার্বোহাইড্রেট হজম করতে সমস্যা হয় শরীরের। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।