ওবেসিটি, ডায়াবিটিসের চোখরাঙানিতে পাত থেকে বাদ চিনি। অতিরিক্ত চিনিতে বাড়ছে বিপদ। তবে পেটে না সইলেও ত্বকে সইলে আখেরে লাভ আপনারই। ভাবছেন, এ আবার কেমন কথা! ত্বকের কালো দাগ তুলতে চিনির কেরামতি জানা আছে, কিন্তু তা বলে রূপচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে চিনির ব্যবহার!
হ্যাঁ, প্রাকৃতিক এই স্ক্রাবারকে ত্বকের অন্যতম সেরা যত্নের উপাদানের তকমা দিচ্ছেন রূপবিশেষজ্ঞরা। শুধু লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে কনুইয়ের কালো দাগ তোলা ছাড়াও আরও অনেক জাদু জানে চিনি। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখার সঙ্গে ঠোঁটকে নরম রাখতে, স্ট্রেচ মার্ক সরাতেও এর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
এক্সফোলিয়েশন: ত্বকের মৃত কোষ তোলা চিনির অন্যতম কাজ। অলিভ অয়েল ও কয়েক ফোঁটা নারকেল তেলের সঙ্গে এক চামচ চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব করুন মুখে অর্থাৎ আলতো হাতে ঘষুন। যত ক্ষণ না চিনি গলে যায়, তত ক্ষণই স্ক্রাবিং করুন। এর পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন মুখ। মৃত কোষ উঠে ঝলমলে হবে ত্বক।
আরও পড়ুন: ফটো ফ্রেম বা পোশাক, পুজোর উপহারে ‘ব্যক্তিগত ছোঁয়া’ কী ভাবে
বিটের রস ও চিনি মিশিয়ে লাগিয়ে নিন ঠোঁটে
ত্বকের জেল্লা: ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে চিনির ভূমিকা অনেকটাই। কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল ও এক চামচ লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন মুখে। মিনিট ১৫ পর ধুয়ে নিন মুখ। ধোয়ার সময় স্ক্রাব করেও নিতে পারেন।
ঠোঁট ফাটা: চিনির কেরামতিতে আটকাতে পারেন ঠোঁট ফাটার সমস্যাও। বিটের রস ও চিনি মিশিয়ে লাগিয়ে নিন ঠোঁটে। নরম ও লালচে হওয়ার পাশাপাশি ফাটবেও না ঠোঁট।
আরও পড়ুন: গাঁদা কিংবা গোলাপ, নানা ফুলের ব্যবহারেই জেল্লাদার ত্বক
স্ট্রেচ মার্ক: হঠাৎ ওজন কমলে বা বাড়লে ত্বকে স্ট্রেচ মার্ক পড়ে। প্রেগন্যান্সির পরেও এমন দাগ দেখা যায়। তেমন সমস্যা হলে কফি, চিনি, আমন্ড তেল ও মধু মিশিয়ে নিয়মিত মালিশ করুন। ধীরে ধীরে হালকা হবে স্ট্রেচ মার্ক।