সামনে উৎসবের মরশুম। অথচ আপনার ওজন বেড়ে চলেছে। স্থূলতা বাড়ছে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের মোটা শরীর দেখতে নিজেরই বিরক্ত লাগছে! ডায়েট করছেন। জিমে যাচ্ছেন। কাজের কাজ তেমন হচ্ছে না!
আচ্ছা, বাড়িতে বা বাইরে গেলে সঙ্গের ব্যাগে একটা কৌটোয় কয়েকটা আমন্ড, কাজু, কিশমিশ, পেস্তা, আখরোট রেখে দেখুন তো! না না, আপনাকে মিনি-র কাবুলিওয়ালা হতে বলা হচ্ছে না। নিয়ম করে রোজ সারা দিনে অন্তত একবার এই ক'টা ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদই। দাম একটু বেশি ঠিকই। কিন্তু কিছু দিন খেলে ওজন কমবেই। রোগা দেখাবে আপনাকে। যেসব সুন্দর পোশাক পুজোয় হয়েছে আপনার, সব চুটিয়ে পরতে পারবেন। কোন ড্রাই ফ্রুটস কী ভাবে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে জেনে নিন।
১. আমন্ড - এর আরেক নাম সুপার ফুড। প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই বাদামে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ফাইবার থাকায় অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা রোধ হয়। এই বাদাম অ্যামিনো অ্যাসিডের ভাল পরিমাণ উৎস, যা দেহের অন্দরে চর্বি পোড়ায়। শরীরের ওজন কমে। রোগাও করে।
২. কাজু - প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম থাকে কাজুতে। এর বাড়তি মাত্রা ওজন কমায়। এটা প্রোটিনের উৎস হওয়াতেও শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।
৩. কিশমিশ - সুস্বাদু এবং কার্যকরী। জলে ভেজানো কিশমিশ ওজন কমাতে অব্যর্থ। শুধু মধুমেহ বা সুগার রোগী খেতে পারবেন না। কিশমিশ অবশ্য চিনি খাওয়ার লোভ বন্ধ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে বলেও কিশমিশ খেলে ওজন কমে।
৪. পেস্তা - ভাল পরিমাণ প্রোটিন থাকায় পেস্তা অতিরিক্ত ভাত-মাছ-মাংস খাওয়া থেকে মানুষকে বিরত রাখে। তাতে ওজন কমে। রোগা দেখায়। এর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরের ওজন কমায়।
৫. আখরোট - এর আবার অ্যানাস্যাচুরেটেড ফ্যাট মোটা মানুষের ওজন কমায়। আখরোটে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যা আপনার ওজন কমিয়ে আপনাকে রোগা দেখাতে সাহায্য করবে। ফলতঃ আখরোট খান রোজ। তবে যে কোনও ড্রাই ফ্রুটস বেশি খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এগুলো তাই ডায়েটশিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী খান।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।