বাস্তুশাস্ত্রে গাছের একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। যে সমস্ত গাছ বাড়িতে থাকলে সমৃদ্ধি, সম্পদ ও সাফল্য আসে, বাস্তু মতে তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাবার গাছ সেই দলেই পড়ে। বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে গাছটি থাকলে আর্থিক বৃদ্ধি এবং সম্পদ সঞ্চয়ে সাহায্য করে। দীপাবলির আগে প্রায় সব বাড়িই সেজে ওঠে নতুন করে। সেই উপলক্ষেই বাড়িতে নিয়ে আসতে পারেন এই গাছটিকে।
রাবার গাছের পাতাগুলি বৃত্তাকার। বাস্তু মতে, এই গাছের এক অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে। মনে করা হয়, এর গোল পাতা থেকে প্রচুর ইতিবাচক শক্তি নির্গত হয়। তবে এই গাছের আশপাশে অন্য কোনও গাছ পোঁতা উচিত নয়। সারা ক্ষণ অক্সিজেন বেরোয় গাছ থেকে। আশপাশে পরিবেশ তাই খুব স্বাস্থ্যকর। আর এমনিতেই বাড়িতে গাছ থাকলে মন সতেজ ও ভাল থাকে।
কী এই রাবার গাছ বা রাবার প্লান্ট? রাবার গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম ফিকাস ইলাস্টিকা। চকচকে ডিম্বাকৃতি পাতার কারণে এই গাছ সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বাড়িতে থাকলে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা হয়। মনে আসে প্রশান্তি। বাস্তুবিদ আমন রস্তগীর মতে, রাবার গাছের পজিটিভ এনার্জি বাড়ির ধন-সম্পদ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তা ছাড়া, এর বেশ কিছু উপকারিতাও রয়েছে। শরীরস্বাস্থ্য ভাল রাখে রাবার গাছ। রইল তার হদিশ–
দূষণ কমায়– রাবার গাছ বাতাসে দূষণের মাত্রা কমায়। ফরমালডিহাইড এবং কার্বন মনোক্সাইড শোষণ করে তা বাতাস পরিশুদ্ধ করে।
রোগ প্রতিরোধী– এর থেকে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন নির্গত হওয়ার কারণে বাতাসের ব্যাকটেরিয়া এবং রোগ জীবাণু দূর হয়।
আর্দ্রতা বাড়ায়– ঘরে-বাইরে আর্দ্রতার মাত্রা বাড়ায়, যা গরম কালে খুবই উপকারী।
এ ছাড়া, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী রাবার গাছ। জেনে নিন সেই গুণাগুণ।
মনের যত্ন– রাবার গাছ মনসংযোগ বাড়ায়। গাছের সবুজ পাতাগুলি মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপের উপশম- আমাদের দৈনন্দিন জীবনের উদ্বেগ কমাতে রাবার গাছের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষায় প্রমাণিত, এই গাছ মনমেজাজ ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আশপাশে থাকলে মন ও শরীর শান্ত ও তরতাজা হয়।
ভাল ঘুম - রাবার গাছের ইতিবাচক শক্তি ঘরের মধ্যে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করে, যা খুব সহজেই ঘুমোতে সাহায্য করে।
রাবার গাছের পরিচর্যা-খুব সহজে যে কোনও পাত্রে বা বাড়ির খোলা উঠোনে রবার গাছ বাড়তে পারে। এই গাছ রোপণের জন্য ভাল মাটি এবং সার ব্যবহার জরুরি। একে বাঁচিয়ে রাখতে নিয়মিত পাতা ছেঁটে দেওয়া এবং এর বংশবিস্তার প্রয়োজন। শীত এবং শরৎকালে এই গাছের বাড়তি যত্ন নিতে হয়।