প্রতীকী ছবি।
বছরভর কোনও না কোনও উৎসবে মেতে থাকে বাঙালি। দু্র্গা পুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই আসছে আলোর উৎসব। দীপাবলি। তার পরেই ভাই-বোনের উৎসব। ভাইফোঁটা। করোনা আবহে বিগত দু’বছরে উৎসবের রং কিছুটা ফিকে হয়েছে ঠিকই। তবে উৎসবকে কেন্দ্র করে উপহার আদান-প্রদানে ভাঁটা পড়েনি। ভাইফোঁটার সকাল থেকে ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় উপোস করে, তার কপালে ফোঁটা দিয়ে মিষ্টিমুখ করানোর পর আসে উপহার বিনিময়ের পালা। আর উপহার নির্বাচন করতে গিয়েই নাকানি-চোবানি খায় সহোদর-সহোদরা। সাধ্যের মধ্যে সাধ পূরণের কথা মাথায় রেখেই মূলত চলে উপহার বাছাইয়ের পর্ব। পকেটের ভার তেমন না বাড়িয়েও কী ভাবে অন্য রকম কোনও উপহার দেওয়া যায়, সে দিকেই থাকে নজর।
প্রতীকী ছবি।
ভিন্ন স্বাদের তেমনই কিছু উপহারের তালিকা রইল এখানে—
১) পছন্দের বই: আপনার ভাই বা বোন কি বই পোকা? বই পড়তে ভালবাসে? তা হলে তার হাতে তুলে দিতে পারেন তাঁর পছন্দের লেখকের একখানি গোটা সমগ্র। কিংবা এ বছরের বেস্টসেলার বইটিও উপহার হিসাবে মন্দ হবে না।
২) স্মার্ট ওয়াচ: ছোট ভাই বা বোনকে সময়ের মূল্য বোঝাতে উপহার হিসাবে স্মার্ট ওয়াচের জুড়ি নেই। চিরাচরিত হাত ঘড়ির পরিবর্তে সাধ্যের মধেই এ রকম একটি উপহার দিলে পরিবর্তে মিলতে পারে গাল ভরা হাসি।
৩) আতর: যে কোনও সুগন্ধই মনপ্রাণ ভরিয়ে তোলে। বর্তমানে বিদেশি সুগন্ধীর রমরমায় দেশি আতরের চল প্রায় উঠতে বসেছে। ক্ষতি কি যদি এই ভাইফোঁটায় উপহারের ঝুলি ভরে ওঠে আতরের গন্ধে?
৪) চকোলেট: চকোলেটের মোড়কের উপর পছন্দের কোনও বার্তা লিখে কিংবা ছবি বসিয়ে দিলেই তা হয়ে উঠবে মনের কাছাকাছি একটি উপহার।
৫) ইন্ডোর প্লান্ট: ঘরের কোণে একটি গাছ মন ভাল করে দিতে পারে অধিকাংশের। তাই উপহারের ঝুলিতে জায়গা করে নিতেই পারে স্পাইডার প্ল্যান্ট, লেডি পাম, মানি প্ল্যান্ট, পিস লিলির মতো সবুজ সতেজ ইন্ডোর প্লান্ট।
উপহার বাছার ঝক্কি আর রইল না। এ বার পছন্দ অনুযায়ী কোনও উপহার কিনে ফেললেই হল!