প্রতীকী চিত্র
বাংলার মিষ্টির মতোই এখানকার মিষ্টি দইয়েরও জগৎজোড়া খ্যাতি। যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে বা ভূরিভোজের শেষ পাতে মিষ্টি দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। যতই প্যাকেটজাত দই বাজারে পাওয়া যাক না কেন, মিষ্টির দোকানে পাতা, জমাট দইয়ের স্বাদের আমেজই আলাদা। নবমীর দুপুরে পেটপুরে পাঁঠার মাংসের ঝোল-ভাত খাওয়ার শেষে একটু মিষ্টি দই হলে গোটা মেনুটাই যেন একেবারে জমে ক্ষীর! থুড়ি জমে দই! এই প্রতিবেদনে রইল কলকাতার সেরা ৫টি মিষ্টি দইয়ের ঠিকানার সন্ধান।
পুঁটিরাম, কলেজ স্ট্রিট: বইপাড়ার জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান এই পুঁটিরাম। সকালের জলখাবারে এখানকার কচুরি-ছোলার ডালের সুনামের কথা সবাই জানে। কিন্তু ১৭০ বছরের পুরনো এই দোকানের পুরনো পদ্ধতিতে তৈরি মিষ্টি দইও কিন্তু খুব জনপ্রিয়।
যুগলস্, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ: দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান। ১৯২৫ সালে এই দোকানটি স্থাপিত হয়। এখানকার দইয়ের বিশেষত্ব হল দই বসাতে সরসমেত দুধ ব্যবহার করা হয়। চিনি দিয়ে সেই দুধ দীর্ঘ ক্ষণ ফোটানোর কারণে দইয়ে প্রাকৃতিক ভাবে লালচে রং ধরে।
নিউ নবকৃষ্ণ গুঁই সুইটস্, বৌবাজার: ১৮০ বছরের পুরনো এই দোকান মিষ্টি দইয়ের এক বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান। এখানে দইয়ের ‘সাঁজা’ তৈরির একটি বিশেষ পদ্ধতি আছে। দুধে নির্দিষ্ট পরিমাণ চিনি দিয়ে দুধ ফুটে যত ক্ষণ না অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে, তত ক্ষণ ফোটানো হয়। তারপর তাকে ঠান্ডা করে দই বসানো হয়। আম দই, সাদা দই এবং মিষ্টি দই– এই তিন ধরনের দই পাওয়া যায় এই দোকানে।
মিঠাই সুইটস্ শপ, পার্ক সার্কাস: ৫০ বছর ধরে এই দোকানের সাদা মিষ্টি দই খুবই জনপ্রিয়। এখানে দইয়ে কোন রং বা ডালডা ব্যবহার করা হয় না। গ্রীষ্মকালে হিমসাগর আম দিয়ে বানানো এখানকার আম দইয়ের ভক্তসংখ্যা নেহাত কম নয়।
সুরেশ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, ঢাকুরিয়া: মিষ্টি দইয়ের জন্য উত্তর কলকাতা জনপ্রিয় হলেও দক্ষিণ কলকাতাও কম যায় না কিন্তু! এই দোকানে ১০০-২৫০ গ্রামের দইয়ের ভাঁড়ের কাটতি সবচেয়ে বেশি। এখানেও গ্রীষ্মে বেশ ভাল আমদই পাওয়া যায়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।