রোজকার জীবনে, ধর্মাচারে তাই ঢুকে পড়েছে কাঁদি কাঁদি কলা। কিন্তু এখানে এমন এক কলার কথা বলা রইল, যার কাঁদির দরকার নেই, এক পিসই প্রসাদের থালা ভরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এই কলার নাম হুয়া মোয়া।
মোটেই সহজলভ্য নয় এই কলা। ক্রমশ হারিয়েও যেতে বসেছে বলা যায়। কলার জাতের মধ্যে একে ‘সেরা’ বললে কেউ বিশেষ আপত্তি করবেন না। তার কারণ যেমন বিশাল সাইজ, তেমনই হল এ স্বাদ। নরম, ক্রিমের মতো শাঁসে ভর্তি এই কলা। মজার কথা হল, এই কলা একই সঙ্গে রান্না করেও খাওয়া যায়, আবার কাঁচাও খাওয়া যায়।
প্রশ্ন হল, এই কলা পাবেন কোথায়? তাহিতি এবং হাওয়াইয়ে মূলত এর গাছ রয়েছে। তবে আগে যে পরিমাণে এই কলা পাওয়া যেত, এখন তার থেকে অনেক কম পাওয়া যায়। ১৯৬০ সাল নাগাদ তাহিতি থেকে এক খাদ্যপ্রেমী মিয়ামিতে নিয়ে যান এই বিরল ফলটি। তার পরে ধীরে ধীরে সেখান থেকে এটি ছড়িয়ে পড়ে কিউবায়। এবং সেখানে এই ফলের নাম হয় হাওয়াইয়ানো। সেই সময়ে বিপুল পরিমাণে চাষ করা হত এটি।
১৯৯০ সাল নাগাদ আমেরিকায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল এই ফল। ফলনও হত ব্যাপক মাত্রায়। কিন্তু ক্রমে তা কমতে থাকে।
নানা ধরনের রোগ, এবং ঝড়জলের কারণে কমে যায় এই গাছের ফলন। ক্রমশ এটি আমেরিকায় বিরল হয়ে যায়।
এখনও এই কলার জনপ্রিয়তা মোটে কমেনি। কিন্তু এর চাষ কমে যাওয়ায় এখন এটি বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় আমেরিকায়। তাহলে কি আসছে বার প্রসাদের থালায় কলার পাশে হুয়া মোয়া? ইচ্ছা থাকলেই উপায় হবে। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।