পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছেন? তা’ও আবার উত্তর কলকাতার ঠাকুর। ঠাকুর দেখার মধ্যে টুকটাক খাওয়া তো চলতেই থাকে।
কিন্তু দুপুর বা রাতের পেট পুজোটা কোথায় সারবেন জানা আছে কি? মুঘল খানা থেকে চাইনিজ খাবার, এই প্রতিবেদনে আপনাদের জন্য রইল উত্তর কলকাতার কিছু সেরা রেস্তরাঁর সন্ধান।
করিম’স (অরবিন্দ সরণিতে, হাতিবাগান মোড়ের কাছে): কাশী বোস লেন থেকে ঠাকুর দেখে শোভাবাজার রাজবাড়িতে যাবেন ভাবছেন? কিন্তু তার আগে পেটপুজোটি সেরে নিলে বেশ হয়। আর সঙ্গে মনটা যদি বলে, বিরিয়ানি আর কাবাব চাই তা হলে তো কথাই নেই। হানা দিতে পারেন হাতিবাগান মোড় থেকে এক মিনিট পায়ে হেঁটে এই দোকানে। দিল্লির জামা মসজিদে যে করিম’স আছে তাদেরই শাখা এই দোকান। খাঁটি মুঘল খানা সঙ্গে দারুণ পরিবেশ কিন্তু জমিয়ে দিতে পারে আপনার পুজোর সন্ধে।
হাতিবাগান সার্বজনীন, নলীন সরকার স্ট্রিট, হাতি বাগান নবীন পল্লীর ঠাকুর দেখে বেরিয়েছেন। এ দিকে মণ্ডপের লাইনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বেজায় খিদে পেয়েছে। কোথায় কোথায় পারেন খেতে?
আরসালান (হাতিবাগানে শ্যামপুকুর স্ট্রিটে): আরসালানের নাম জানেন না এমন কলকাতাবাসী বোধহয় বিরল। টাউন স্কুলের ঠিক পিছন দিকেই রয়েছে এই রেস্তরাঁর আরেকটি শাখা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই শাখায় দু’টি তল জুড়ে রয়েছে বসে খাওয়ার জায়গা। অথবা যদি ভারী খাবার খেতে ইচ্ছে না করে তা হলে কিন্তু কাজ সারতে পারেন একটা রোল দিয়েই।
সুতানুটি জংশন (হাতিবাগানে শ্যামপুকুর স্ট্রিটে): বন্ধুরা মিলে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছেন, এক জনের পছন্দ চাইনিজ তো আরেক জনের ভারতীয় খানা। কী করবেন বুঝতে পারছেন না। ঘুরে আসতে পারেন সুতানুটি জংশনে। একটাই রেস্তরাঁতে পেয়ে যাবেন ভারতীয় এবং চাইনিজ খাবার।
অনলি ফর চাইনিজ গজব (হাতিবাগানের শ্যামপুকুর স্ট্রিটে): আপনার পছন্দের খাবার যদি হয় চিনা খানা, তা হলে যেতে পারেন এই রেস্তরাঁতে। খাঁটি চাইনিজ স্যুপ থেকে চাউমিন পেয়ে যাবেন প্রায় সব কিছুই।
বাগিচা (হাতিবাগানে শ্যামপুকুর স্ট্রিটে): হাতিবাগান অঞ্চলের মাল্টি কুইজিন রেস্তরাঁগুলির মধ্যে বাগিচা অন্যতম। ভারতীয় থেকে চাইনিজ প্রায় সব ধরনের খাবার পেয়ে যাবেন এখানে।
আমিনিয়া (ফড়িয়াপুকুরের কাছে): কলকাতায় বিরিয়ানির সেরা ঠিকানাগুলির মধ্যে আমিনিয়া অন্যতম। কলকাতার নানা জায়গায় বেশ অনেকগুলি শাখাই রয়েছে এই রেস্তরাঁর। সিকদার বাগানের ঠাকুর দেখে ফড়িয়াপুকুরের দিকে বেরলে, বিধান সরণির যোগাযোগ স্থলে দেখতে পারেন আরেকটি শাখা। ইচ্ছা করলে রাতের বা দুপুরের খাওয়া দাওয়াটা সেরে নিতে পারেন এখানেও।
গোলবাড়ি (শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে): গোলবাড়ির বিখ্যাত কষা মাংসের ভক্ত নন এমন বাঙালি বিরল। ঠিক শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে গেলেই দেখা মিলবে ‘গোলবাড়ির বিখ্যাত কষা মাংস’ লেখা বোর্ড। পুজোর দিনে পরোটা এবং পাঁঠার মাংসের কষা হলে জমে ভালই।
রূপা (শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে): কষা মাংসের সঙ্গে যদি পরোটার জায়গায় রুটি আপনার হয়, বেশি পছন্দের তাহলে চলে আসতে পারেন রূপাতে। শুধু কষা মাংস নয় এখানে কিন্তু আপনি পেয়ে যেতে পারেন পাঁঠার মাংসের মেটে থেকে মুরগীর মাংসের কষাও। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।