নারকেলের নাড়ু।
কিছু খাবারে পুজো পুজো গন্ধ থাকে। হয়তো এটা আমরা পেয়েছি আমাদের চিরকালের অভ্যাস থেকে। কারণ খুব ছোট থেকেই আমরা দেখেছি বাড়িতে ঠাকুমা-দিদিমারা পুজো এলেই নারকেল নাড়ু, নারকেল সন্দেশ বানিয়ে রাখতেন বাড়িতে। এমনিতে নারকেল শুভ হওয়ায় ঠাকুরের প্রসাদ তৈরিতেও এর ব্যবহার হয়ে থাকে। কয়েকদিন পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব আসছে, তাতে নারকেলের স্বাদ না জুড়লে চলে! বানিয়ে ফেলুন নারকেল দিয়ে তৈরি দুই রকম মিষ্টি।
নারকেল নাড়ু
উপকরণ:
নারকেল: ২টি (ভাল করে কুরে নিতে হবে)
ঘন দুধ: ১ কাপ
এলাচ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
চিনি: ৫০০ গ্রাম
দারচিনি: ২-৩ টুকরো
ঘি: ২ টেবিল চামচ
প্রণালী:
কড়াইয়ে ঘি গরম করতে দিন। ঘি গরম হয়ে গেলে তাতে নারকেল কোরা, চিনি, দুধ দিয়ে দিন। ভাল করে এগুলি মেশানোর পর এতে দারচিনির টুকরো ও এলাচগুঁড়ো দিয়ে ভাল করে সবটা মিশিয়ে নিন। আঁচ হাল্কা রেখে অনবরত নাড়তে থাকুন। খেয়াল রাখতে হবে কোনও ভাবে কড়াইতে মিশ্রণটি লেগে না যায়। বেশ খানিক ক্ষণ নাড়লে মিশ্রণটি ভাজা ভাজা হয়ে আসবে। একটু আঠাআঠা ভাব চলে এলে আঁচ বন্ধ করে কড়া থেকে নামিয়ে দিন। দারচিনির টুকরোগুলি বেছে সরিয়ে দিন। এবার হাতে একটু ঘি মাখিয়ে নিয়ে মিশ্রণটিকে ছোট ছোট নাড়ুর আকার দিন। ব্যস, তৈরি আপনার পছন্দের নারকেল নাড়ু।
নারকেলের বরফি
উপকরণ:
নারকেল: ১টি (কোরা)
জল: ১/৪ কাপ
চিনি: ১ কাপ
মালাই: ১/২ কাপ
দুধ: ১/২ কাপ
ঘি: ১ টেবিল চামচ
কাজুবাদাম কুচনো: ২ চা চামচ
দারচিনি গুঁড়ো: ১ চা চামচ
প্রণালী:
মিক্সিতে নারকেল কোরা ও জল ব্লেন্ড করে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার আঁচ কমিয়ে প্যানে নারকেলের মিশ্রণ দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। জল শুকিয়ে এলে চিনি দিয়ে দিন। বেশ খানিক ক্ষণ নাড়ার পর প্যানে ঢাকা দিয়ে দিন। মিনিটপাঁচেক পর ঢাকা খুলে মালাই, দুধ ও ঘি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। তারপর আবার ঢাকা দিয়ে দিন। মাঝে মাঝে ঢাকা তুলে দেখুন মিশ্রণ কতখানি শুকিয়েছে। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে চলবে না। হয়ে গেলে কাজুবাদাম কুচি ও দারচিনির গুঁড়ো দিয়ে দিন। এবার একটি থালায় ঘি মাখিয়ে মিশ্রণটি ঢালুন। হাত দিয়ে একটু সমান করে দিন। একটু ঠান্ডা হলে ছুরি দিয়ে বরফির আকারে কেটে উপরে কাজুবাদাম কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।