প্রতীকী ছবি।
পুজো এলেই কিছু মিষ্টির গন্ধ যেন ঘুরে-ফিরে আসে। নারকেল ছাপা, চন্দ্রপুলি আরও কত কী! আগে ঠাকুমা-দিদিমারা বাড়িতেই বানাতেন এই সব মিষ্টি। বাঙালি আর মিষ্টি তো সমার্থক। বছরভর ডায়েট মেনে চললেও পুজোর কয়েকদিন রসনাতৃপ্তিই শেষ কথা! পুজোর সময় বাড়িতে অনেক সময় নানা আত্মীয়-বন্ধুরা আসেন। পুজোর দিনে তাঁদের একটু মিষ্টিমুখ না করালে চলে! বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন জনপ্রিয় সাবেকি মিষ্টি চন্দ্রপুলি।
চন্দ্রপুলি
উপকরণ:
ছানা: ১ কাপ
মাওয়া: ১/২ কাপ
নারকেল কোরা: ১/২ কাপ
গুড়: ১/২ কাপ
এলাচ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
ঘি: ২ চা চামচ
পেস্তাবাদাম কুচি: ১ চা চামচ
চন্দ্রপুলির ছাঁচ
প্রতীকী ছবি।
প্রণালী:
একটি থালায় ছানা নিয়ে ভাল করে ঠেসে আটার মতো মণ্ড তৈরি করুন। মণ্ড তৈরি হয়ে গেলে মাওয়া ভাল করে চটকে নিয়ে এই মণ্ডের সঙ্গে মিশিয়ে দিন। এর পরে গুড় মিশিয়ে আবারও মণ্ডটিকে ভাল করে মেখে ফেলুন। এ বার একটি ননস্টিক কড়াইতে ১ চা চামচ ঘি গরম করে তাতে মণ্ডটি দিয়ে দিন। একটি কাঠের হাতা দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। একটু জল মরে গিয়ে চটচটে হয়ে গেলে ১ টেবিল চামচ মণ্ড তুলে ছোট গোল পাকিয়ে দেখুন কোনও ভাবে ফেটে যাচ্ছে কিনা বলটি। ফেটে না গেলে বুঝবেন আপনার মিশ্রণটি তৈরি।
এ বার সেটি কড়াই থেকে নামিয়ে একটি থালায় রেখে ঠান্ডা হতে দিন। পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে তাতে নারকেল কোরা ও এলাচগুঁড়ো মিশিয়ে আবারও ভাল করে মেখে মণ্ড তৈরি করে নিন। মণ্ডতে এখনও হালকা জলজলে ভাব থাকলে কড়াইতে হাল্কা আঁচে রেখে জল শুকিয়ে নিন। মিশ্রণটি একটু ঠান্ডা হলে ছাঁচে একটু ঘি মাখান, সেই সঙ্গে হাতের তালুতেও একটু ঘি মাখিয়ে ভাল করে ঘষে নিন। এবার তালুতে ১ টেবিলচামচ মণ্ড নিয়ে লম্বাটে ভাবে পাকিয়ে নিন। এবার ঘি মাখানো ছাঁচে ভাল করে বসিয়ে নিন। ছাঁচ থেকে চন্দ্রপুলি তৈরি হয়ে গেলে উপরে পেস্তার গুঁড়ো ছড়িয়ে ফ্রিজে রেখে পরিবেশন করুন।