পুজোর ভোগের এক আলাদাই স্বাদ এবং গন্ধ থাকে যা অন্য কোনও খাবারের সঙ্গে তুলনা করা যায় না, তা সে যত সুস্বাদুই হোক না কেন।
দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজোর পর এবার পালা জগদ্ধাত্রী পুজোর ভোগ বানানোর। আগামীকাল অর্থাৎ ১০ নভেম্বর দেবীকে নিবেদন করা হবে নবমীর ভোগ।
তথাকথিত খিচুড়ি, লাবড়ার বদলে যদি ভোগে একটু স্বাদবদল করা যায় তা হলে কেমন হয়!
নিরামিষ ভুনি খিচুড়ি: সাধারণ খিচুড়ির বদলে বানিয়ে নিতে পারেন একটু ভিন্ন স্বাদের এই খিচুড়ি। তবে ভুনি খিচুড়ি একটু শুকনো হয়।
আলু, গোটা গোটা করে কাটা ফুলকপি, কাজু-কিশমিশ দিয়ে সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন এই রেসিপি। তবে এই খিচুড়ি বানানোর জন্য এমনি মুগ ডালের বদলে সোনা মুগ ডাল দিলে স্বাদ আরও ভাল হয়। ফোরনে দিন তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, দারচিনি, কালো ও সবুজ এলাচ।
দুধ পোলাও: এই পোলাও বানাতে লাগবে গরম ফোটানো দুধ। ঘি গরম করে গোটা গরমমশলা এবং ষ্টার অ্যানিস ফোড়ন দিন। এর পরে এর মধ্যে কড়াইশুঁটি, কিশমিশ এবং আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা চাল দিতে হবে।
সেদ্ধ হওয়ার জন্য ফোটানো দুধ, স্বাদ মতো নুন এবং চিনি দিলেই তৈরি দুধ পোলাও।
ছানা ভাপা: খুবই সহজ একটি রেসিপি এই ছানা ভাপা। এই ক্ষেত্রে ছানার বদলে পনিরও ব্যবহার করতে পারেন। একটি ঢাকনা যুক্ত পাত্রের মধ্যে কালো এবং সাদা সর্ষে বাটা, পোস্ত বাটা, নারকোল বাটা, হলুদ, ধনেপাতা, কাঁচা লঙ্কা, পরিমান মত নুন এবং সর্ষের তেলের একটি মিশ্রণ বানাতে হবে।
এবার এর মধ্যে ছানা অথবা পনির ভাল করে মশলা দিয়ে মাখিয়ে দিতে হবে। পাত্রের ঢাকনা বন্ধ করে অল্প আঁচে হওয়া গরম জলের মধ্যে বসিয়ে দিতে হবে। কিছুক্ষণ ভাপিয়ে নিলেই তৈরি ছানা ভাপা।
কাঁচকলার মালাই কোফতা: কাঁচাকলা সেদ্ধ, আলু সেদ্ধ, ভিজিয়ে রাখা মটর ডাল এবং নারকেলের বাটা দিয়ে বলের মতো বানিয়ে লাল হয়ে ওঠা অবধি ভাজুন। এর পরে গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিয়ে তাতে টমেটো এবং আদা বাটা দিয়ে কষান।
এ বার হলুদ, জিরে গুঁড়ো, লাল লঙ্কা, ধনে গুঁড়ো, নুন এবং চিনি দিন। ভাল করে কষানো হয়ে গেলে এর মধ্যে কাজু এবং পোস্ত বাটা দিতে হবে। এবার কোফতাগুলো দিয়ে পরিমান মতো জল দিন। ফুটে উঠলে ফ্রেশ ক্রিম ছড়িয়ে দিলেই তৈরি জিভে জল আনা কাঁচকলার মালাই কোফতা।
সাদা আলুরদম: ভিজিয়ে রাখা তিল, পোস্ত, কাজু এবং কাঁচা লঙ্কা বেটে একটি সাদা রঙের মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এবার হিং, তেজপাতা এবং গোটা গরমমশলা ফোড়ন দিয়ে সাদা মিশ্রণটি দিয়ে দিন।
এর মধ্যে আদা বাটা এবং লঙ্কা দিয়ে কষানোর পরে ভাল করে ফেটিয়ে রাখা দই, নুন, চিনি এবং গোলমরিচ গুঁড়ো দিন। আরেকটু কষলে সিদ্ধ করে রাখা আলু দিয়ে দিন। পরিমান মতো জল দিয়ে ফুলে উঠলেই তৈরি সাদা আলুরদম। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।