Kolkata cabins

পুজোয় ঘোরাঘুরির মাঝে চপ কাটলেট খেতে হলে ঢুঁ মারুন এই সব পুরনো কেবিনে

: ঘিয়ে ভাজা ম ম কার গন্ধওয়ালা একটা চিংড়ির কাটলেট, কী ফিশফ্রাই, নয়তো ডিমের ডেভিল বা কোনও একটা চপ! কাসুন্দি যোগে মুখে পুরে দিন। বাড়তি একটা ফুরফুরে মেজাজ চলে আসবে।

Advertisement
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৩ ১৮:৫৬
Share:
০১ ১২

বাঙালির পুজো মানেই কিন্তু খাওয়াদাওয়া। সে পুজোর কেনাকাটি করতে গিয়েই হোক বা প্যান্ডেল প্যান্ডেলে ঘোরার সময়েই হোক, কী বাড়িতে বসে আড্ডা দিতে গিয়েও হোক।

০২ ১২

ভোজনরসিক বাঙালির অন্যতম প্রিয় ঠেক হল কলকাতার পুরনো কেবিনগুলি। কাছাকাছি পৌঁছে গেলে সদলবলে বসে খান। নয়তো বাড়িতে নিয়ে আসুন। এই প্রতিবেদনে আপনাদের জন্য রইল কলকাতার ৬টি বিখ্যাত কেবিনের সন্ধান।

Advertisement
০৩ ১২

মিত্র ক্যাফে: ঠিকানা-৪৭, যতীন্দ্র মোহন অ্যাভিনিউ, কলকাতা– ৭০০০০৫। ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে উত্তর কলকাতাবাসীদের কাছে প্রিয় ঠিকানা মিত্র ক্যাফে। এখানকার ফিশ ফ্রাই, মোগলাই পরোটা, কবিরাজি, ব্রেন চপ খাওয়ার জন্য আজও দোকানের বাইরে পড়ে লম্বা লাইন।

০৪ ১২

অ্যালেন কিচেন: ঠিকানা– ৪০/১, যতীন্দ্র মোহন অ্যাভিনিউ, কলকাতা– ৭০০০০৬। আপনি যদি হন চিংড়ি প্রিয়, তাহলে কিন্তু আসতেই হবে ১২৫ বছরের পুরনো এই দোকানে। স্কটল্যান্ড-এর স্কট জেন অ্যালেন সাহেবের হাতে প্রতিষ্ঠিত হয় এই দোকান। কলকাতা শহরেই। পরে দোকানটি তিনি জীবনকৃষ্ণ সাহাকে দিয়ে দেশে ফিরে যান। এখানকার ঘিয়ে ভাজা ডিমের প্রলেপ দেওয়া চিংড়ির কাটলেট কাসুন্দি যোগে মুখে দেওয়ার জন্য অনেকেই মুখিয়ে থাকেন।

০৫ ১২

অনাদি কেবিন: ঠিকানা-এস এন ব্যানার্জি রোড, কলকাতা-৭০০০৭২। অনাদি কেবিনের নাম জানেন না এমন বাঙালি বিরল। ১৯২৫ সালে বলরাম জানা তাঁর ছেলের নামে প্রতিষ্ঠা করেন এই দোকান। ধর্মতলার কাছাকাছি গেলে গিয়ে একবার কিন্তু চেখে দেখতেই পারেন এখানকার মোগলাই পরোটা এবং ফিশ কাটলেট।

০৬ ১২

ধীরেন কেবিন: ঠিকানা– ১২৬, শোভাবাজার স্ট্রিট, কলকাতা – ৭০০০০৫। ১৯৩৮ সালে পথ চলা শুরু এই দোকানের। পুরনো কাঠের বোর্ড, কাঠের চেয়ার টেবিলের সঙ্গে একই রয়ে গিয়েছে এখানকার খাবারের স্বাদ। এখানকার ফিশ পকোড়া, ফিশ ফ্রাই, ফিশ ফিঙ্গার এবং মটন কাটলেটের চাহিদাই সবথেকে বেশি।

০৭ ১২

ক্যাফে: ঠিকানা – ৪১/এ, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড, কলকাতা– ৭০০০২৬। ঠিক আশুতোষ কলেজের বিপরীতে এই দোকানে এক সময় যাতায়াত ছিল চুনী গোস্বামী, মহেশ্বেতা দেবী থেকে দীনেশ দাসের। এখানকার ফিশ কবিরাজি, চিকেন কবিরাজি বা মটন চপ একবার খেলে বারবার যেতে ইচ্ছে করে।

০৮ ১২

নিরঞ্জন আগার: ঠিকানা– ২৩৯ এ, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, কলকাতা – ৭০০০০৬। গিরিশ পার্ক মেট্রো স্টেশনের কাছেই এই দোকান। ভাজাভুজি প্রিয় বাঙালির আরেক পছন্দের জায়গা হল এই নিরঞ্জন আগার। এখানকার ডিমের ডেভিল খেতে দূর দূর থেকে ছুটে আসেন অনেকেই। তবে শুধু ডিমের ডেভিল নয়, এখানে কিন্তু পাওয়া যায় ফিশ ফ্রাই থেকে মটন কাটলেট সবই পাওয়া যায়।

০৯ ১২

দিলখুশা কেবিন: ঠিকানা – ৮৮, মহাত্মা গান্ধী রোড, কলকাতা ৭০০০০৯। কলেজ স্ট্রিট মোড়ের কাছেই রয়েছে ১০০ বছরের পুরনো এই কেবিন। এক সময়ে এই দোকানে নিয়মিত আসতেন কাজী নজরুল ইসলাম থেকে গণেশ পাইন সহ আরও বিখ্যাত মানুষ। চাউমিন, মোগলাই পরোটা থেকে কাটলেট পাবেন ছাড়াও পাবেন আরও অনেক কিছু। তবে এখানকার চিকেন এবং ফিশ কবিরাজির চাহিদা একটু বেশি।

১০ ১২

দিলরুবা রেস্টুরেন্ট: ঠিকানা– ৮৬/১, বিধান সরণি রোড, কলকাতা– ৭০০০০৪। প্রায় ৭৫ বছরের বেশি পুরনো এই দোকানেও কিন্তু সন্ধে হলেই ভিড় জমান ভোজন রসিক বাঙালি। কাটলেট ও কবিরাজি এখানকার মূল আকর্ষণ হলেও আজকাল চাইনিজ পদও কিন্তু পেয়ে যাবেন মেনুতে। হাতিবাগানের পুজোর কেনাকাটার বা ঠাকুর দেখতে গিয়ে একবার ঢুঁ মেরে আসতে পারেন এখানে।

১১ ১২

ফার্ন রেস্টুরেন্ট: ঠিকানা– ১৯৩ রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, কলকাতা – ৭০০০১৯। গড়িয়াহাট মোড়ের কাছেই রয়েছে এই কেবিন। মূলত চপ, কাটলেটের জন্য বিখ্যাত হলেও আপনি চাইলে করে নিতে পারেন রাতের ডিনারও।

১২ ১২

নব মালঞ্চ রেস্টুরেন্ট: ঠিকানা – ১০০, শ্রী অরবিন্দ সরণী কলকাতা- ৭০০০০৬। কলকাতার কেবিন নিয়ে কথা হবে, আর নব মালঞ্চের প্রসঙ্গ আসবে না, তা আবার হয় নাকি! শতাব্দী প্রাচীন এই দোকানের কবিরাজী খেতে ভিড় জমান বুড়ো থেকে বাচ্চা সবাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement