কলকাতার এই অভিজাত রেস্তরাঁয় আপনাকে স্বাগত।
মার্কো পোলো শুনলে কী মনে হয়? সেই যে বণিক যে পাড়ি জমিয়েছিলেন নানা দেশে। সেই কথা ভেবেই নানা দেশের রান্নাকে শহরের মানুষের কাছে নিয়ে আসতে কলকাতায় এই অভিজাত রেস্তরাঁ যাত্রা শুরু করেছিল। এই রেস্তরাঁর দুটি শাখা। ১২ বছর ধরে দেশ-বিদেশের রান্নার স্বাদে বাঙালিকে মজিয়ে রেখেছে মার্কো পোলো।
খুলে গিয়েছে রেস্তরাঁ। তাই বাইরে ভূরিভোজে এখন আর অসুবিধে নেই। গত তিন মাস ধরে বাড়ির খাবার খেয়ে খেয়ে অনেকেরই স্বাদ-বদলের ইচ্ছে ষোলো আনা। তার মধ্যে পুজো আসছে। করোনা আবহে পুজো হলেও খানিকটা আনন্দ তো করতেই হবে। তাই শহরের এই অভিজাত রেস্তরাঁর হদিস রইল আপনার জন্য।
২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি দক্ষিণ কলকাতার শরৎ বোস রোডে প্রথম এই রেস্তরাঁ শুরু হয়। পরবর্তীতে পার্ক স্ট্রিটে। শুরুর দিন থেকেই রেস্তরাঁর সঙ্গে রয়েছেন কল্লোল বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ভার সামলান অর্থাৎ ম্যানেজার। তাপস সেনগুপ্ত সামলান পার্ক স্ট্রিটের ভার। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন এই রেস্তরাঁর হেঁসেলের সর্বাধিনায়ক থুরি একজিকিউটিভ শেফ অমিতাভ চক্রবর্তী। ১৮ বছর ধরে এই রেস্তরাঁকে বেড়ে উঠতে দেখছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: চাউম্যানের লা জবাব ফ্রায়েড রাইস বাড়িতে বানান এ ভাবে
একজিকিউটিভ শেফ অমিতাভ চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে তৈরি হচ্ছে সারা বিশ্বের নানা রেসিপি।
রেস্তরাঁর ম্যানেজার কল্লোলবাবু এই প্রসঙ্গে বলেন, ২০০৮ সালে পার্ক স্ট্রিটে নোঙর জমিয়েছিল মার্কো পোলো। আবার চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করতে চলেছে এই রেস্তরাঁ। করোনা আবহে রেস্তরাঁ ব্যবসা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, তবে ইতিবাচক ভাবনা নিয়েই আবারও রেস্তরাঁ খোলা হয়েছে, আসতে শুরু করেছেন খদ্দেররাও, মানা হচ্ছে সবরকম স্বাস্থ্যবিধিও, জানান কল্লোলবাবু।
এখন কী কী মানা হচ্ছে?
চিকিৎসকদের পরামর্শ, ভয় খাবারে নয়। ভয়টা যথাযথ পরিচ্ছন্নতা মানা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে। এখনও অবধি করোনা নিয়ে যত গবেষণা হয়েছে, তাতে খাবার থেকে সংক্রমণের প্রমাণ মেলেনি। তাই খাবার কী ভাবে তৈরি হচ্ছে, যিনি ডেলিভারি দিতে আসছেন, তিনি কতটা সচেতন, এ সব বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। মার্কো পোলোর ক্ষেত্রে সমস্ত রকম বিধি মানা হচ্ছে, তাই চিন্তার কারণ নেই, এমনই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে রেস্তরাঁর তরফে। তাই পুজোর কদিন আতঙ্ক নয়, বরং ভোজনরসিক বাঙালি মেতে উঠুন নিত্যনতুন স্বাদের আনন্দে।
আরও পড়ুন: ‘অওধ ১৫৯০’-এর গলৌটি কাবাবের রেসিপি ফাঁস! বাড়িতেই বানিয়ে হবে বাজিমাত
এ বছরে মার্কো পোলোর মেনুতে রয়েছে নানা রকম সম্ভার। একজিকিউটিভ শেফ অমিতাভ বাবুর তত্ত্বাবধানে 'দহি কে কাবাব', 'মুর্গ চাঙ্গেজি' কিংবা 'আইসক্রিম', 'সিকন্দরি দম বিরিয়ানি', 'লেবানিজ ল্যাম্ব চপস' কিংবা 'চিকেন স্ট্রোগানফ'-এর আসল স্বাদ পেতে আপনাকে আসতেই হবে মার্কো পোলোতে। একান্তই যদি আসতে না পারেন, জোম্যাটো অ্যাপ তো রয়েইছে। সারা বিশ্বের রান্নার আস্বাদ কি মিস করবে বাঙালি ভোজনরসিকরা!