উৎসবের মরসুম মানেই বাঙালির ভূরিভোজ শুরু! সারা বছর কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, হার্টের অসুখের জেরে চিকিত্সকের কড়া নির্দেশে মাটন একেবারেই ‘নৈব নৈব চ’। তাই বলে কি উৎসবের দিনেও আপনার পাতে পড়বে না সাধের মাটন?
বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন মাটনের এই কাশ্মীরি পদটি। উৎসবের ভূরিভোজে একটু অনিয়ম চলতেই পারে, তবে অবশ্যই শরীরের ক্ষতি করে নয়।
কাশ্মীরি মশলা ও লঙ্কার ঝাঁজে মটনের এই পদ ভোজনরসিকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। পুজোয় রেস্তরাঁর লম্বা লাইনে হাপিত্যেশ অপেক্ষা ভুলে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন রোগানজোস।
আরও পড়ুন: পুজোর আড্ডায় পাতে থাকুক শামি কাবাব! বাড়িতেই বানান এই উপায়ে
মাটন রোগানজোস:
মাটনের এই দুর্দান্ত রেসিপি তার লাল রং বা ‘রোগান’-এর জন্য বিখ্যাত।
এই কাশ্মীরি পদটির ভারতে আগমন ঘটে মোগলদের হাত ধরে। মাটনের এই দুর্দান্ত রেসিপি তার লাল রং বা ‘রোগান’-এর জন্য বিখ্যাত। গরম ভাত বা নানের সঙ্গে জমে যাবে এই পদ। আসুন জেনে নিন কী ভাবে সহজেই বানিয়ে ফেলবেন মাটনের এই রেসিপি।
আরও পড়ুন: রেস্তরাঁর বাসন্তী পোলাও এ বার বাড়ির হেঁশেলেই, রেসিপি জানেন?
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
প্রণালী: প্রেসার কুকারে সরষের তেল ঢেলে ধোঁয়া ওঠা পর্যন্ত গরম করুন। তারপর কুকারটি গ্যাস থেকে নামিয়ে রেখে সমস্ত গোটা মশলা ফোড়ন দিন। পুনরায় কুকারটি গ্যাসে চড়ান। এরপর সেদ্ধ করে রাখা মাটন দিয়ে কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। মাটন হালকা ভাজা হয়ে গেলে তাতে ফেটানো টক দই দিন। এরপর একে একে সব গুঁড়ো মশলা যোগ করে অল্প আঁচে ভাল করে কষুন। মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে তাতে গরম জল মিশিয়ে নাঁড়াচড়া করুন। স্বাদ মতো নুন দিন। গ্রেভির লাল রঙের জন্য যোগ করুন পরিমাণ মতো রতনযোগ। প্রেসারের ঢাকনা দিয়ে ৩ থেকে ৪ সিটি ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সব শেষে গরম মশলার গুঁড়ো মিশিয়ে নামিয়ে নিন।