মাছ-মাংস-ডিমের পাশাপাশি ভোজনপ্রিয় বাঙালির হেঁশেলে জমকালো উপস্থিতি কাঁকড়ারও। কাঁকড়ার নানা পদ এখন বাড়িতে অনেকেই রাঁধেন। আর সেটা ঝাল ঝাল কাঁকড়া কষা হলে তো কথাই নেই! জিভে জল আনা সেই কাঁকড়া কষা রান্নার খানাতল্লাসি চালাচ্ছে আনন্দবাজার অনলাইন।
উপকরণ -
মাঝারি সাইজের কাঁকড়া - ২টো
মিক্সিতে বা শিলনোড়াতে এক সঙ্গে বাটা আদা-রসুন-কাঁচা লঙ্কা - চায়ের চামচের ২ চামচ
বড় টম্যাটো বাটা - ১টা
বড় পেঁয়াজ বাটা - ১টা
গোটা গরম মশলা - চায়ের চামচের আধ চামচ
হলুদ গুঁড়ো - চায়ের চামচের আধ চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো - চায়ের চামচের আধ চামচ
জিরে গুঁড়ো - চায়ের চামচের আধ চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো - চায়ের চামচের আধ চামচ
শুকনো লঙ্কা - ১টা
ধনেপাতা - ৫-৬টা
সরষের তেল - চায়ের চামচের ৫-৬ চামচ
নুন - স্বাদ মতো
জল - মাপ মতো
রন্ধন প্রণালী -
১. কাঁকড়া ভাল করে ছাড়িয়ে, কেটে সামান্য গরম জলে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন।
২. নুন-হলুদ মাখিয়ে ম্যারিনেট করে একটা পাত্রে রাখুন।
৩. গ্যাসের উনুনে কড়াই চাপিয়ে তাতে সর্ষের তেল গরম করে কাঁকড়াগুলির দু’পিঠ ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ভাল করে অন্তত ৫ মিনিট ধরে ভাজুন। একটা পরিষ্কার পাত্রে তুলে রাখুন।
৪. ওই কড়াইয়ে আরও তেল দিয়ে তাতে গোটা গরম মশলা, শুকনো লঙ্কা, পেঁয়াজ বাটা দিন।
৫. অল্প কিছুক্ষণ নেড়ে ওর ভেতর রসুন-টম্যাটো বাটা, স্বাদ মতো নুন দিয়ে ভাল করে কষুন।
৬. পরের ধাপে ওর ভেতর গুঁড়ো হলুদ, লঙ্কা, জিরে, গরম মশলা দিন। অল্প একটু কষে নিন।
৭. এ বার ওই মিশ্রণে ভাজা কাঁকড়া দিয়ে খুব ভালো ভাবে কষতে হবে।
৮. মশলা থেকে তেল বের হতে থাকলে তাতে মাপ মতো খুব অল্প জল ঢেলে কড়াইয়ের ঢাকনা চাপা দিন।
৯. কাঁকড়া সেদ্ধ হতে দিন।
১০. কষা, ঘনঘন হলে উনুন থেকে নামিয়ে খাবার পাত্রে রাখুন। ওর উপরে ধনেপাতা ছড়িয়ে দিন।
১১. আপনার বাড়িতে ঝাল ঝাল কাঁকড়া কষা তৈরি।
১২. গরম ভাতে পরিবেশন করুন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।