পুজোর কয়েকটা দিন ডায়েট চার্টের দিকে ফিরেও তাকানো হয়নি তো? সেটাই যদিও স্বাভাবিক। চার-চারটে দিন কবজি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়ার পরে এ বার তা হলে স্বাস্থ্যকর জীবনের ছন্দে ফিরে আসা যাক?
মুখ ভার করার প্রয়োজন নেই, দইতেই হবে কেল্লাফতে! খাবার যেমন হবে সুস্বাদু, সঙ্গে মেদও ঝরবে চোখের নিমেষে। রইল প্রাতরাশে খাওয়ার মতো সহজ এবং সুস্বাদু কিছু রেসিপির হদিস।
কার্ড রাইস (দই-ভাত): একটি পাত্রে চার ভাগের এক ভাগ সেদ্ধ ভাত নিন, সঙ্গে মেশান এক কাপ দই। এখানেই শেষ নয়, সুস্বাদ আনতে নুন, মরিচের সঙ্গে মেশান ছোট করে কেটে রাখা পেঁয়াজ, টোম্যাটো। ইচ্ছে হলে শশাও রাখতে পারেন পাতে। স্বাস্থ্যকর অপশন হিসেবে বেছে নিতে পারেন কল-বেরনো ছোলাও। সব কিছু ভাল ভাবে মিশিয়ে নেওয়ার পরে বাকি থাকবে আর একটা কাজ।
অন্য পাত্রে ১ টেবিল চামচ সর্ষের তেল গরম করুন, তার মধ্যে দিয়ে দিন ১ টেবিল চামচ সর্ষের বীজ, ৮-১০টি কারিপাতা, ২টি শুকনো লঙ্কা। ব্যস, এই মিশ্রণটিকে দই এবং ভাতের মিশ্রণে মিশিয়ে নিলেই তৈরি আপনার স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু কার্ড-রাইস।
দই এবং ওটস্-এর সহজ রেসিপি: সকালে অফিস যাওয়ার তাড়া? চটজলদি ব্রেকফাস্টের রেসিপি খুঁজছেন ইন্টারনেটে? চেখে দেখতে পারেন দই আর ওটস্-এর এই রেসিপিটিও।
এক কাপ দইয়ের মধ্যে ২ ভাগের ১ ভাগ ওটস্ মিশিয়ে রেখে দিন রাতভর। পরদিন একটি পাত্রে তা ঢেলে আপনার পছন্দমতো ফল কিংবা ফলের জ্যাম ও ফ্ল্যাক্স সিড মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন চটজলদি সুস্বাদু ব্রেকফাস্ট!
শসার রায়তা: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে শসার জুড়ি মেলা ভার! ফাইবারের গুণে ভরপুর এই রায়তা বানিয়ে নিন বাড়িতেই। প্রথমে দু’টি মাঝারি সাইজের শসা ভাল করে কেটে প্যানে সামান্য ঘি দিয়ে নেড়ে নিন, যতক্ষণ না এটি শুকনো হয়ে আসছে।
একটি পাত্রে দই ভাল করে ফেটিয়ে তার মধ্যে শসা, সামান্য চিনি, নুন ও সামান্য শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো মিশিয়ে নিন ভাল করে। পরিবেশন করুন ভাত কিংবা প্লেন পরোটার সঙ্গে। খেতেও লাগবে বেশ।
দই স্যান্ডউইচ: ১ কাপ দইয়ের মধ্যে ক্যাপসিকাম, টোম্যাটো, পেঁয়াজ দিয়ে তাতে স্বাদ মতো নুন, মরিচ মিশিয়ে রেখে দিন। অন্য একটি প্লেটে ২টি পাউরুটি নিন এবং তার মধ্যেই মাখিয়ে নিন দইয়ের এই মিশ্রণটিকে। তার পর প্যানে সামান্য ঘি দিয়ে রুটি সেঁকে নিলেই তৈরি আপনার স্যান্ডউইচ।
আমের লস্যি: গরমে আমের লস্যি যেমন আরামদায়ক, তেমনই সুস্বাদু। এ বার তা হবে পুষ্টিকরও। ব্লেন্ডিং জারে ২ কাপ দইয়ের মধ্যে ১ কাপ আমের পাল্প, ১ টেবিল চামচ মধু দিন। সঙ্গে মিশিয়ে নিন ৪ থেকে ৬ কিউব বরফ। ব্যস, তা হলেই তৈরি হয়ে যাবে আমের লস্যি। যা আপনি ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশনও করতে পারবেন সকলকে। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।।