পেটাই পরোটা। কেউ কেউ আবার বলেন ছেঁড়া পরোটা। ইয়া বড় একাটা তাওয়া। তাতে প্রায় তাওয়ার সমান বড় একটা পরোটা সেঁকা হচ্ছে। কোথাও আবার পরোটার সাইজ তাওয়ার থেকেও বড়।
একটু সেঁকা হয়ে গেলেই তার পর ভাজার পালা। চার পাটে মুড়ে নিয়ে উল্টে পালটে ভাজা। তবে তেলের ব্যবহার কিন্তু যৎসামান্য। আর এটাই এই পরোটার ‘ইউএসপি’। কম তেলে প্রস্তুত নরম তুলতুলে পরোটা।
এর পরেই হাতের ঘায়ে বেশ কয়েকবার পেটানো হয় ঐ পরোটাকে। তার পর পরিবেশনার পালা। আপনারা হয়তো ভাবছেন এত বড় পরোটা খাবে কে? আর খাবেই বা কী করে। আসলে এই পরোটাকে ছিড়ে ওজন করে বিক্রয় করা হয় সব জায়গায়।
১০০ গ্রাম থেকে শুরু করে যতটা আপনি খেতে পারেন। সঙ্গে রয়েছে ঘুগনি, বা লাল লাল ঝোল আলুর দম। আবার কোথাও পেয়ে যাবেন ডিম কষাও।
দাম শুরু কোথাও মাত্র ১২ টাকা থেকে বা কোথাও ১৫ টাকা থেকে। কম দামে এই রকম পেট ভরা খাবার আর কটা আছে বলুন দেখি। তবে কোথায় গেলে পাবেন এমন সুন্দর জায়গা। জানা আছে? এই প্রতিবেদনে রইল কলকাতার এমন কটা সেরা পেটাই পরোটার দোকানের হদিস।
মৌলালি থেকে লেনিন সরণী ধরে শিয়ালদহের দিকে যেতে গেলেই চোখে পড়বে এই দোকান। মৌলালি মোড় থেকে শিয়ালদহের দিকে ৫০মিটার এগোলেই বাঁ হাতে পাবেন এই দোকান।
সল্টলেক সেক্টর ৩ এ রয়েছে একটি বিখ্যাত চোখের হাসপাতাল এবং একটি বেসরকারি হাসপাতাল। চোখের হাসপাতালের ঠিক বিপরীতের ফুটপাথে রয়েছে দুটি দোকান। এখানকার পেটাই পরোটার স্বাদ দারুণ। সঙ্গে রয়েছে ঘুগনি বা আলুর দম। আলাদা করে নিতে পারেন ডিম কষা।
কলকাতা থেকে রায়চক যেতে গেলে রাস্তায় পড়ে সরিষা আশ্রম মোড়। রামকৃষ্ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এবং তাঁর আশেপাশেই রয়েছে বেশ কয়েকটি পেটাই পরোটার দোকান। এখানকার পেটাই পরোটার স্বাদের এমন বাহার যে লোকে গাড়ি রেখে নেমে আসেন এখানে জলখাবার খেতে।
দক্ষিণ কলকাতার থিয়েটার রোডে রয়েছে পেটাই পরোটার দোকান। জহরলাল রোড থেকে থিয়েটার রোডে ঢুকে এজেসি বোস রোডের দিকে একটু এগোলে চোখে পড়বে এই দোকান।
সূর্য সেন স্ট্রিটকে ডানদিকে রেখে শিয়ালদহের দিকে গেলে ডান দিকে দেখতে পাবেন দোকান। ছোট এই দোকানগুলির ‘দর্শনদারি’ না থাকলেও স্বাদ কিন্তু অসাধারাণ।
ছাতুবাবুর বাজারের প্রধান গেটে রয়েছে আরেকটি ছোট দোকান। সময় সকাল ৭টা থেকে ১১টা বা ১২টা অবধি। সকাল বেলায় এই দোকানের পেটাই পরোটা খেলে আপনার মন ভাল হতে বাধ্য। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।