সেপ্টেম্বর শেষ প্রায়। সামনেই পুজো। তার আগেই শহরের নাম করা পাঁচ তারা হোটেলে বসল চাঁদের হাট। জমকালো সাজে চোখ ধাঁধানো সন্ধে উপহার পেল শহরবাসী। এই প্রতিবেদনে রইল তার নানা মুহূর্ত।
শহরের সবার প্রিয় ‘একেন বাবু’ অনির্বাণ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন এই দিন। পুরোদস্তুর বাঙালি বাবুর সাজে পাঞ্জাবি আর ধুতি পরে সেজেছিলেন তিনি। কারুকাজ করা হলুদ পাঞ্জাবির সঙ্গে সদাহাস্যময় মুখ, তাতেই কেল্লাফতে।
রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনে এই বছর অন্য রকম পুজোর সুর। তাই হাসিমুখে নকশাদার সাদা কালো পাঞ্জাবিতে দারুণ মানিয়েছিল তাঁকে।
কাঞ্চন মল্লিকের পরনেও ছিল বাঙালি সাজ। ধূসর পাঞ্জাবি আর কালো ধুতিতে সবার প্রিয় ‘টিঙ্কু দা’ হাজির ছিলেন এই সন্ধ্যায়।
সচরাচর ভারী সাজে তাঁকে দেখা যায় না। সমাজ মাধ্যমেও আধুনিকা পশ্চিমি সাজেই বেশির ভাগ সময় দেখা মেলে তাঁর। সেই দেবচন্দ্রিমাকে এই দিন সন্ধেয় দেখা গেল বেশ অন্য অবতারে। ভারী জরির কাজ করা বেনারসির সঙ্গে হাতে কানে ও গলায় সোনালি গয়নার সঙ্গতে দারুণ মানিয়েছে তাঁর সাজ।
গায়ে লেপ্টে থাকা আগুন রঙা ভারী কারুকাজ করা পাড়ের শাড়িতে অভিনেত্রী শ্রুতি দাস অনন্যা। হাজার তারার আলোয় ভরা তাঁর হাজিরা।
অভিনেত্রী ইশা সাহাও উপস্থিত ছিলেন এই দিন। ছক ভাঙা অভিনয় থেকে সাজ, সব কিছুতেই তিনি সারা বছর চর্চার কেন্দ্রে থাকেন। সাদা শাড়ি ব্লাউজ ও অক্সিডাইজডের বড় দুলের সঙ্গে তাঁর সাজ ছিল সত্যি নজর কাড়া।
বাংলা অভিনয় জগতের আলোচনার মুখ্যে থাকা অনির্বাণ ভট্টাচার্য এই দিন পরেছিলেন ঘিয়ে পাঞ্জাবি ও পাজামা। তবে চোখের হলুদ রোদচশমাই ছিল আসল আকর্ষণ।
সদ্য বাবা হয়েছেন অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তী। তবে এই আনন্দের সন্ধেয় টলিউডের অন্যান্য তারকার সঙ্গে সামিল হতে ভোলেননি। ছিমছাম পাঞ্জাবিতে বেশ দেখাচ্ছিল তাঁকে।
সাদা কালো পাঞ্জাবি আর সাদা ধুতির সাজে অভিনেতা সৌরভ দাসকে মানিয়েছিল দারুণ। সঙ্গে ছিলেন হৃদকম্পন বাড়ানো অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায়, তিনি পরেছিলেন ঘন নীল পাঞ্জাবি আর সাদা পাজামা। পুরো বাঙালি আমেজে ভরপুর।
ভারত-বাংলাদেশের সেরাদের মিলন! ওপার বাংলার অভিনেতা আফরান নিশো হাজির ছিলেন কালো পাঞ্জাবির সাজে। কথোপকথনে ব্যস্ত ছিলেন এপার বাংলার অভিনেতা দম্পতি কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এবং চুর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
কালো পাঞ্জাবি ও ধূসর ধুতির সাজে সদ্য দেশের প্রেক্ষাগৃহে ঝড় তোলা অভিনেতা টোটা রায়চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন এই দিন। তাঁর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে তাঁর সাবেকি বাঙালি সাজ মিলেমিশে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সবাইকে।
সোনালি রঙের স্বচ্ছ জর্জেটের ভারী কারুকাজ করা নকশাদার শাড়ি পরে উপস্থিত ছিলেন বাংলার ঝলমলে তারকা মিমি চক্রবর্তী। তাঁর মুক্তঝরা হাসিতে আরও চটকদার হয়ে উঠেছিল এই দিনের সন্ধে।
টলিপাড়ার তরুণ, প্রাণোচ্ছল ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়ও হাজির ছিলেন তাঁর বাবা দড় অভিনেতা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ঘিয়ে পাঞ্জাবির সাজে দু’জনকেই দারুণ মানিয়েছিল এই দিন।
সাদা পাঞ্জাবি ও কালো কোটের সাজে হাজির ছিলেন অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মাথায় লাল টুপি, তাঁর ঝোলা ভর্তি রসিক হাসি নিয়ে।
তাক লাগানো সাজে উষ্ণতা ছড়িয়েছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত। পুরো হাতা একই রকমের ব্লাউজ ও শাড়িতে তাঁকে লাগছিল মোহময়ী।
লাল ব্লাউজ ও কালো-ধূসরের মিশেলে শাড়িতে মিষ্টি লাগছিল সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর উপস্থিতি আরও উজ্জ্বল ভাবে ধরা দিচ্ছিল তাঁর স্নিগ্ধ চোখের আলতো চাউনিতে।
সবার প্রিয় ‘রানি রাসমণি’ দিতিপ্রিয়া রায় এসেছিলেন লাল শাড়ির সঙ্গে স্লিভলেস সাদা ব্লাউজ পরে। খোঁপায় ফুল দিয়ে সেজে ঝকঝকে তারকার আমেজে।
সাহসী হলুদ পাড়, সাদা শাড়ি ও সাদা ব্লাউজে আগুনঝরা রূপে ধরা দিয়েছিলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া এহসান। তাঁর চোখের কাজল-কালো ইশারায় মাত আপামর দর্শক।
সাদা শাড়িতে লাল ফুলেল কাজ। খোলা চুলের প্রাণ মাতানো সাজে উপস্থিত ছিলেন প্রিয়ঙ্কা সরকার। সরু হাতার ব্লাউজে লাস্যের ছ’টা অভিভূত করেছে সব্বাইকে। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।