দীপাবলি মানে অশুভ যা কিছু, সব দূরে সরিয়ে শুভ মুহূর্তের আবাহন । দীপাবলি মানে অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলোর উৎসব।
শব্দ নয়, আলোর রোশনাইয়ে ভরা থাক দীপাবলির রাত। সেই রামধনুর আভাই জড়িয়ে সারা শরীরে। তারই উচ্ছ্বাস আকাশে-বাতাসে।
দুর্গা পুজো যদি হয় সিঁদুরের আড়ম্বর, দীপাবলি সেখানে আলোর অলঙ্কার। দীপাবলির সেই অলঙ্কারই গার্গীর আসল অহঙ্কার।
গার্গীর মতে, এই উৎসবের পোশাকে থাকতে হবে সনাতনী স্বাদ। সেই সাবেকিয়ানা ঝলমল করবে আলোর রোশনাইয়ে।
দুর্গা পুজো মানেই শাড়ি। দীপাবলি একটু আলাদা। শাড়ি ছাড়া অন্য ধরনের পোশাকেও ধরে রাখা যায় সাবেকিয়ানা? যদি পোশাকের সঙ্গে মিশে থাকে স্নিগ্ধ সৌন্দর্য আর আভিজাত্য? দীপাবলির আগে সেই রসায়নেই রঙিন গার্গী।
এই উৎসবের পোশাক হতে পারে জারদৌসি কাজ করা সালোয়ার কামিজ বা লেহঙ্গা। শরীর জুড়ে থাকবে ও়ড়নার আদর।
সারা বছর কাজের চাপ। বাড়িতে থাকা বা আপনজনের সঙ্গে সময় কাটানো সম্ভব হয় না। তাই দীপাবলির সময়টা শুধুই পরিবারের জন্য।
সারা বছর যাঁরা বাড়ির কাজে সাহায্য করেন, এই সময়ে তাঁদের ছুটি। এই সময়টা শুধু পরিবারের সঙ্গে একান্ত যাপন,পছন্দের পোশাক, হাল্কা সাজ, আর মন খুলে আড্ডা। সারা বাড়ি মায়ায় জড়িয়ে রাখে মোমের আলো। দীপাবলির রাতে নিজের গৃহকোণকে এ ভাবেই সাজিয়ে তোলেন গার্গী। মনে সেই আলোরই ছোঁয়া। চারপাশেও তখন যেন আলোর জ্যোৎস্না।
‘হামি-২’-এর মিতালী, ‘মহানন্দা’-র মহানন্দা বা ‘শেষ পাতা’-র মেধার চোখে কি তাহলে দীপাবলির আলাদা রং? অভিনেত্রীর দৃপ্ত উত্তর— ‘হামি-২’-এর মিতালীর কাছে দীপাবলি ঝলমলে আলোর উৎসব। স্বামী, সংসার, সন্তানকে নিয়ে সুখের গৃহকোণ।
‘মহানন্দা’-র চোখে দীপাবলি হল পিছিয়ে পড়া মানুষদের মনে আলো জ্বালানো, তাদের আলোর পথ দেখানো।
‘শেষ পাতা’-র মেধার চোখে দীপাবলি নিজেকে জানা, নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা।
ম়ডেল: গার্গী রায়চৌধুরী পোশাক: প্রশান্ত চৌহান, সস্যা রূপটান ও কেশসজ্জা: কুণাল সাহা ছবি: সায়ন্তন দত্ত গয়না: সুদীপ স্থান: ওয়েস্টইন, কলকাতা বিশেষ কৃতজ্ঞতা: শিলাদিত্য চৌধুরী, পরিকল্পনায়: শ্যামশ্রী সাহা