প্রতীকী চিত্র
লাগাতার আন্দোলন পেরিয়ে একটু একটু করে ছন্দে ফিরছে কলকাতা। দোরগোড়ায় পুজো। সেজে উঠছে রাস্তাঘাট, মণ্ডপ, ঠাকুর দালান। কচিকাঁচাদের নতুন জামাকাপড় কিনে দিতে দোকানমুখী মায়েরা। পেশা বা সংসার সামলে ইতিউতি পার্লার, সালঁয় ঢুঁ মারছেন নানা বয়সের নারী-পুরুষ। বছরভর এই কয়েকটা দিনের আনন্দের দিকেই তো তাকিয়ে থাকে বাঙালি। ক্লান্তি, বিষাদ ভুলে মেতে ওঠে শারদীয়ার উদযাপনে।
উৎসবের দিনগুলোয় সকলেই চায় ভিড়ের মাঝে নজর কাড়তে। এ বারের পুজোয় এখনও ঘিরে আছে বেশ খানিকটা বিষাদ। কিন্তু হাল্কা সাজেও তো মোহময়ী হয়ে ওঠা যায়। হয়ে ওঠা যায় প্যান্ডেলের সেরা সুন্দরী। এই প্রতিবেদনে তারই তথ্য তালাশ:
সপ্তমী-সাজে ঝলমলে
সপ্তমী সকালের শরৎ আকাশ যেন জানান দেয় ঝলমলিয়ে ওঠার সময় আগত। সকালে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা হোক বা পুজো প্যান্ডেল, হাল্কা সাজের জুড়ি মেলা ভার। মুখে থাকুক সানস্ক্রিন। সঙ্গে হাল্কা ফাউন্ডেশন। চোখে ঘন কালো কাজল-রেখা। মায়াবী চোখ দুটো সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই, তাই যত্নে সাজান তাকে। তবে দিনের সাজে লিপস্টিকের রং যেন কখনওই উগ্র না হয়। খেয়াল রাখবেন, মেকআপ যেন আপনার ব্যক্তিত্বকে ছাপিয়ে না যায়।
অষ্টমী সকালের বঙ্গললিতা
অষ্টমীতে সাবেক বাঙালিয়ানায় হয়ে উঠুন অনন্যা। সকালের দিকে লাল সাদা তসর, জামদানি বা তাঁতের শাড়িতে নিজেকে মেলে ধরুন সনাতনী রূপে। সঙ্গে থাকুক সাবেক গয়না, লাল লিপস্টিক, চুড়ি। সঙ্গে ভারী কাজল আর হাল্কা মেকআপ। হয়তো দেখলেন, অঞ্জলির ভিড়ে সবার চোখ গেল আপনার দিকেই।
নবমী নিশির কন্যে
রাত পোহালেই দুর্গাপুজোর শেষ দিন। ফের একটা বছর অপেক্ষার প্রহর গোনার পালা। বাঙালি তবু চায় চারপাশটা আরও কিছু দিন উৎসবমুখর হয়ে থাকুক। নবমী নিশির সাজেও তাই থাকুক আলো-আঁধারির ছোঁয়া। তাতেই দূরদ্বীপবাসিনীর মতো হয়ে উঠুন ধাঁধার মতো রহস্যময়ী। ঘন নীল বা পার্পলের মতো গাঢ় রঙা পোশাক, চোখে স্মোকি আই মেকআপ, ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক– এ রাতে মায়াবী হয়ে উঠুন সঙ্গীর চোখে।
বাকিটা ঠিক বুঝে নেবে সুন্দরের পূজারী।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।