প্রতীকী ছবি
নিত্যদিন ট্রেনে-বাসে অফিসকাছারি যাতায়াতের সুবাদে নানা রকম সাজের সুযোগ রয়েছে চাকুরিরতাদের। গৃহবধূদের কিন্তু সেই সুবিধা নেই। তাই বলে কি পুজোর ওই পাঁচদিনেও স্রেফ স্বামী-সন্তান আর ঘরকন্না নিয়ে ব্যস্ত থাকতে ভাল লাগে? ইচ্ছে তো করেই ঘরের পোশাক বা সাধারণ শাড়ি সরিয়ে রেখে ওই কদিন নিজেকে সুন্দর করে তোলার। সারা বছরের একঘেয়ে সাজ থেকে আচমকা এই স্বাদবদলের রাস্তাটা ঠিক কেমন হওয়া উচিত? রইল তার সন্ধান।
নকশা করা শাড়ি: পুজোর সাজ মানেই ঝলমলে উজ্জ্বলতা। সারা বছর ঘরের পাঁচটা কাজে ব্যস্ত থাকেন। উৎসবের দিনগুলোয় চার দিকে আলো ও রঙের পসরার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেছে নিন নকশা করা উজ্জ্বল রঙিন শাড়ি। সুন্দর সুতোর কাজের শাড়ি পুজোর সাজে আনতে পারে নতুন মাত্রা। সঙ্গে থাক ন্যূনতম হাল্কা গয়না আর আলতো রূপটান।
নকশা করা চুড়িদার: শাড়ি তো রোজ পরেন। আবার স্বাচ্ছন্দ্যের সীমা অতিক্রম করাও না-পসন্দ। ফলে মাঝামাঝি পথ বেছে নিয়ে পুজো মাত করে দিন ঘন কাজ করা চুড়িদারে। হালকা রঙের কুর্তির সঙ্গে জমকালো ওড়না নিলে জমে যাবে সাজ। গয়না হোক ভারী। অক্সিডাইজড বা রুপোর সঙ্গে পরীক্ষানিরীক্ষার এর থেকে ভাল সময় হয় না। রূপটান হালকা হলেও নজর কাড়ুন চোখের সাজে।
মিশ্রসাজ: নিজের চিরাচরিত রূপ ভেঙে বেরিয়ে আসতে চান? অথচ পুরোপুরি পশ্চিমি পোশাকে স্বচ্ছন্দ নন? গত বেশ কয়েক বছরের ফ্যাশন প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সাজের মিশেলে যে ট্রেন্ড তৈরি করেছে, তার সদ্ব্যবহার করুন। ব্লাউজের বদলে শাড়ির সঙ্গত দিক হালকা রঙের শার্ট। আর একটু সাহসী হলে অনায়াসে জিন্সের সঙ্গে শাড়ির যুগলবন্দিতে তাক লাগিয়ে দিন সকলকে। এ ছাড়া বিকল্প হতে পারে কুর্তির সঙ্গে পালাজো বা ঘাগরা কিংবা ক্রপ-টপের সঙ্গে শাড়ি। ধুতির আদলে শাড়িও কিন্তু পুজোয় জনপ্রিয়তার নিরিখে এগিয়ে থাকবে অনেকটা। রূপটান হোক সামান্য। জোর থাক গয়না ও অন্যান্য সাজসরঞ্জামে।
ঘের দেওয়া পোশাক: আপনি গৃহবধূ। ‘নাইটি’ বা ‘ম্যাক্সি’ আপনার নিত্যসঙ্গী। এ বার পুজোয় সেই পোশাককেই দিতে পারেন একটি চমক লাগানো পরিবর্তনের ছোঁয়া। বেছে নিন লম্বা গাউন বা নকশা করা ম্যাক্সি ড্রেস। সঙ্গে চুলে একটি উঁচু খোঁপা আর হিরে বা পাথরের গয়না মিলিয়ে আনুন সাজে আনুন পুরনো মার্কিনি ধাঁচ। সবার চোখ টানবেই!
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের অংশ।