শাড়ি মানেই সুতোর সুক্ষ্ম কাজ। যে কাজে লেগে তাঁতিদের ভালবাসার ছোঁয়া। আসলে প্রতিটি শাড়ির নেপথ্যে লুকিয়ে রঙিন গল্প। বেনারসিতে তো বটেই।
বলা হয়, শাড়ি এমনই এক পোশাক, যা পরা যায় বহু কায়দায়। যে পোশাক নিয়ে করা যায় নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা। কিন্তু শাড়ি মানে কি শুধুই নারী? আধুনিক সাজে এই প্রচলিত ধারণা আজ অতীত।
আসলে শাড়ি এমন এক পোশাক, যা ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী আবেদন বাড়িয়ে তোলে। তাই শুধু নারী নয়, হালফ্যাশনে যদি নজর দেওয়া যায়, দেখা যাবে পুরুষও সেজে ওঠে এই বারোহাতি বস্ত্রখণ্ডে।
পুজোর আগে বেনারসি শাড়িকে নতুন ভাবে উপস্থাপন করলেন পোশাকশিল্পী রুদ্র সাহা। তবে এ বার সেই বেনারসি কোনও নারী নয়, বরং বাড়িয়ে তুলেছে পুরুষের সৌন্দর্য।
খোলা বুক, নিম্নাঙ্গে ধুতির মতো জড়িয়ে লাল টুকটুকে বেনারসি। পুজোর আগে এমনই সাজে সেজে উঠেছেন আতিফ।
কখনও আবার আকাশ নীল রঙা শাড়িতে মোহময়।
প্রচলিত ধারণার ছক ভেঙে পুরুষরাও যে শাড়ি পরতে পারেন, সেই ভাবনাই আরও স্পষ্ট অন্য রকম এই ফটোশ্যুটে।
পরিকল্পনার নেপথ্যে থাকা পোশাকশিল্পী রুদ্রর কথায়, “আমরা চেয়েছিলাম এমন কোনও সাজ তৈরি করতে, যা পুজোর আগে মানুষের মননে লেগে থাকবে। আশা করি সেটা পেরেছি।”
সত্যিই তো, ফ্যাশন বা সাজের কোনও লিঙ্গভেদ হয় নাকি? সাজই পারে নারী-পুরুষকে একাকার করে ফেলতে। তারই জলজ্যান্ত উদাহরণ এই ছবিগুলি।
বার্তা একটাই। এবং স্পষ্ট। নারী বা পুরুষ নয়, শাড়ি হয়ে উঠুক আপামর বাঙালির অহঙ্কার; এ বাংলার অহঙ্কার। বাঙালির হাত ধরেই পৌঁছে যাক বিশ্বের দরবারে।