পুজো মানেই কি সাবেক শাড়িতে নারী? কিংবা শার্ট-জিনসের পশ্চিমি লুক? নাকি স্বাচ্ছন্দ্যই হয়ে দাঁড়িয়েছে আধুনিক সাজের মূল মন্ত্র?
এই বছরের আনন্দ উৎসবে, ছকে বাঁধা পুজোর সাজ থেকে দূরে সরে আধুনিক ফ্যাশনকেই নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরলেন অনুষা বিশ্বনাথন ও শতাফ ফিগার।
বয়স কম, তবু অল্প সময়েই টলিউডে নজর কেড়েছে অনুষা। সাহসী ফটোশ্যুট হোক বা ঘরের মেয়ে দুর্গা, ইন্ডাস্ট্রিতে যে কোনও চরিত্রে, স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে নিজেকে মেলে ধরেছে অনুষা।
বিপরীতে শতাফ ফিগর। যাঁর বিচরণ টলিউড থেকে হলিউড, সর্বত্র। সম্প্রতি ‘এক্সট্র্যাকশন’ ছবিতে অভিনয় করে দর্শকদের নজর কেড়েছেন তিনি।
পুজোর ঠিক আগেই তথাগত ঘোষের ক্যামেরায় নতুন লুকে ধরা দিলেন শতাফ ও অনুষা। ফ্রেমবন্দি হল উষ্ণ, রোম্যান্টিক ভালবাসার কিছু মুহূর্ত।
এমন এক জুটি নিয়ে এই ফটোশ্যুটের গল্প লিখলেন তথাগত, যাঁদের নিয়ে গল্প লিখতে খানিক বেগ পেতে হবে অনেককেই।
ছবির প্রেক্ষাপটে ভাঙা গ্যারাজ, গাড়ির বনেট, ছেঁড়া টায়ার। ভাঙা চেয়ারে বসেই একাল-সেকালের গল্পে মজলেন দু’জনে।
সেই গল্প দুই প্রজন্মের। দুই তারকারও। এক জনের অভ্যুত্থান, আর এক জন ইতিমধ্যেই দিগন্ত ছুঁয়ে ফেলেছেন।
তথাগতর লেন্সে মিলেমিশে এক হয়ে গেল দুই প্রজন্ম।
যে ফ্রেম হয়তো নিছকই কোনও আগলে রাখার গল্প হতে পারতো, তাতেই একমুঠো উষ্ণতা যোগ করলেন শতাফ-অনুষা।
ভাঙা গ্যারাজে ডেনিমে অনুষা, আর সাদা টি-শার্টে শতাফ। এই ছবি মনে করিয়ে দিতে পারে কাইলি বল-এর গ্যারাজ ফটোশ্যুটকে।
চারপাশ ভাঙাচোরা, খানিক এলোমেলোও বটে। তার মাঝেই দুই তারকার ঝলমলে উপস্থিতি। এমনটা দেখেছেন আগে?
শুধু ডেনিমই নয়, কালো পোশাকেও মোহময়ী অনুষা। ছড়াল একরাশ উষ্ণতা।
ক্যামেরার সামনে ঠিক তেমনই সাহসী লুকে ধরা দিলেন শতাফ নিজেও।
শেষ শট দিতে দিতে শতাফ সময় শেষের প্রহর গুনছেন। পরদিন, মুম্বইয়ে ফের শ্যুটিং শুরু। তবে ফ্রেমবন্দি ছবিগুলি নিয়ে উৎসাহে ঘাটতি দেখা গেল না এতটুকুও।
অন্য দিকে, অনুষাও উপভোগ করেছেন নিজের মতো করে। তাঁর মতে, এ বছরের পুজোর ফ্যাশনের সংজ্ঞা বদলে দিতে পারে এই ফটোশ্যুট!
পড়ন্ত বিকেল। আলো-আঁধারির রোমাঞ্চে বাড়ছে উষ্ণতা। শেষ বিকেলে যেন একাকার হয়ে গেল দুই প্রজন্মের প্রেম।