সাদা-লাল রঙের গরদ। শ্রীতমা দে-র শাড়ির সোনালি পাড়ে জমে এক চিলতে উৎসব। খোলা পিঠে মিশেছে তারই রেশ।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। উৎসব তাই বছর জুড়েই। বিসর্জনের সুর কাটতে না কাটতেই কোজাগরীতে ঘর আলো করে আসেন মা লক্ষ্মী।
বাঙালি মননে, মেয়ে মানেই সে মা লক্ষ্মী কিংবা মা দুর্গা। অভিনেত্রী শ্রীতমা অবশ্য এই দুই দেবীরই ছায়া খুঁজে পেয়েছেন নিজের মায়ের মধ্যে। তাই চেষ্টা করেন মায়ের মতোই হতে।
সাদা লাল গরদ, গা ভর্তি সোনার গয়নায় শ্রীতমা সত্যিই লক্ষ্মীটি যেন!
অভিনেত্রী ব্যক্তি জীবনেও খুব চঞ্চল। যাকে বলে হাতে পায়ে লক্ষ্মী! জানালেন তিনি নিজেই!
তবে সমালোচনার প্রতিবাদে তিনি লক্ষ্মীমন্ত স্বভাবের। শ্রীতমা মনে করেন, দিনের শেষে তাঁর কাজই কথা বলবে তাঁর হয়ে।
পিঠ খোলা সাজেই শুধু নয়, জিন্স পরলেও তাঁর আচরণ লক্ষ্মী ঠাকুরের মতো থাকবে। এমনটাই দাবি অভিনেত্রীর। পোশাক নিয়ে মেয়েদের আজও অনেক সমালোচনা শুনতে হয়। সমাজের এই ভাবনা বদলানো জরুরি বলেই মনে করেন শ্রীতমা।
জন্ম মুর্শিদাবাদে হলেও, বাবার বদলি চাকরির সুবাদে থেকেছেন ঝাড়গ্রাম, খড়গপুরেও। উচ্চমাধ্যমিকের পরে কলকাতায় এসে পড়াশোনা করেছেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং নিয়ে। অভিনয়কে পেশা করে নেওয়ার জন্যেও অনেক লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে। সব পরিস্থিতি তিনি সামলেছেন লক্ষ্মী ভাবেই।
মা লক্ষ্মীর কাছে শ্রীতমার প্রার্থনা একটাই, যাতে সব প্রতিকূলতার মধ্যেও শিরদাঁড়া সোজা থাকে। সৎ পথেই যেন তিনি ভরে রাখতে পারেন তাঁর লক্ষ্মীর ঝাঁপি।