সচেতন ছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে চিত্রটা বদলেছে। ফ্যাশন মানে এখন অত্যন্ত স্মার্ট একটা মেকওভার। পোশাকের লুক বদলের সঙ্গে সঙ্গে গয়নার ক্ষেত্রেও তৈরি হয়েছে নতুন স্টেটমেন্ট। এই মুহূর্তে যেমন সোনার গয়নার কদর অনেকটাই কম। বাজারে এখন রুপোর জোয়ার। ২০২০-র এই পুজোয় পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত রুপোর গয়নায় সেজে চমকে দেবেন নাকি? পাড়ার দোকান তো আছেই। রুপোর গয়নায় এক্কেবারে নতুন রকম ডিজাইন যদি চান, এক বার উঁকি দিতে পারেন নিউ মার্কেটের ‘এশিয়ান আর্টস’-এর অন্দরে।
কর্ণধার ভাশি বরওয়ানি জানালেন- কলকাতা তো বটেই, দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এবং আরও দূরদুরান্ত থেকেও মানুষ আসেন তাঁদের গয়না কিনতে। মহিলা, পুরুষ সকলের জন্যই রয়েছে অনবদ্য সব সংগ্রহ। ভারতীয় গয়নার সাবেকিয়ানা বজায় রেখেই ট্রেন্ডি, এথনিক সব রকম লুকেই তৈরি হয়েছে প্রত্যেকটি গয়না। তবে ডিজাইনার গয়না মানেই যে আকাশছোঁয়া দাম, এমনটাও নয়। এখানকার প্রায় সব গয়নাই মধ্যবিত্তের নাগালে বলে দাবি বিপণির কর্ণধারের।
ফ্যাশন ডিজাইনার অনুশ্রী মলহোত্র যেমন জানালেন, এ বারের পুজোর জন্য এক্সক্লুসিভ কালেকশন হল- মা দুর্গার মোটিফ করা নাকছাবি ও কানের দুল। এ ছাড়া রয়েছে মোবাইল ফোনের রুপোর কভার। পুজোর রাতে বা কোনও পার্টির সময়ে শাড়ি অথবা লহেঙ্গার সঙ্গে পরার জন্য জমকালো ঝুমকো, মালা ও চুড়ির সেটও পাওয়া যাবে। শুধু মেয়েরাই নয়, পুরুষদের জন্যও রয়েছে হাল ফ্যাশনের ট্রেন্ডি লকেট, বিভিন্ন স্টাইলের চেন, আংটি এবং রিস্টলেট।
বাজারে এখন রুপোর জোয়ার।
পুজোর সকালে পালাজো, কুর্তা, স্কার্টের মতো পোশাকের সঙ্গে ম্যাচ করে পরা যায় লোকশিল্প আর পশ্চিমি ধাঁচ মেশানো ফিউশন লুকের ঝোলা দুল। শুধু পুজোর দিনগুলোতেই নয়, প্রতিদিনের কলেজ বা অফিস যাওয়ার জন্যেও রুপোর অল্প ঝোলা দুল, বাহারি নাকছাবি এবং বিভিন্ন ধরনের কয়েক গাছা চুড়ি বা বালা একদম পারফেক্ট। এশিয়ান আর্টস কিংবা এলগিন রোডের সার দেওয়া রুপোর গয়নার দোকানে এ বছরও পাওয়া যাচ্ছে পুজো স্পেশাল নাকছাবি। যার বৈশিষ্ট্য হল নাকে ফুটো করা না থাকলেও অনায়াসেই পরা যাবে।
আরও পড়ুন: পুজোর শপিংয়ে গেলেন ঊষসী, কী কী বেছে নিলেন নিজের জন্য?
পুজোয় সেজে উঠুন রুপোর ঝিলমিলে। কেবল দুর্গাপুজো নয়, প্রত্যেক অনুষ্ঠানেই কিন্তু তার কদর!