লম্বা দিন ধরে পুজো। আর বাঙালির সাজের সময় হল এই পুজো। প্রথাগত দিক থেকে মনে হয় পুজোয় সাবেকি সাজের দিকে যাওয়াই ভাল। শিশিরভেজা ঘাস। শিউলি ফোটা শরৎ। সন্ধেগুলো একটু গাঢ় হয়ে নামে সাজের শহরে। মটকা জামদানি, গাদোয়াল সিল্ক বা হালকা বেনারসের উইভ অথবা দক্ষিণের নানা ধরনের সিল্কের শাড়ি পরা যেতে পারে।
এমন দিনকালের কথা মাথায় রেখেই ‘প্রথা’-কে সাজিয়েছি আপনাদের মনের মতো করে। আমার মতে, পুজোর সকালটা সুতিতেই থাক। কলকাতার পুজোতে গরম খুব যে কমে তা নয়। আমি যেমন ‘প্রথা’-য় ধনেখালি রেখেছি এ বার। এগুলোর দাম বেশ কম। কম্বিনেশন ব্লাউজ দিয়ে পরলে চোখে আরাম দেবে। পুজোতে লাল-সাদা বুটি, জামদানি, চেকস শাড়ির কোনও জুড়ি নেই। তাঁতের শাড়িও পরা যেতে পারে। তেলিয়া কটন পরতে পারেন তবে এই শাড়ির সঙ্গে চাই রুপোর গয়না। পুজোতে অবশ্য সোনার গয়নাও চলতে পারে। কর্ণাটকের ইলিকালের শাড়িও পুজোর সকালে তাক লাগাতে পারে।
পুজোর সকালে ছেলেদের জন্য সুতির, হ্যান্ড উইভ কাপড়ের শার্ট বা কুর্তা সংগ্রহে রাখতে পারেন। কখনওই কোনও উটকো সাজের মধ্যে নিজেকে নিয়ে যাবেন না। চেহারার সঙ্গে মানানসই পোশাকে পরুন। মেয়েরাও পোশাক বাছার আগে জানুন নিজেকে। কোন আইশ্যাডো পরলে আমার ব্যক্তিত্বটাই হারিয়ে যাবে, আমি যদি কালো নেলপলিস লাগাই আমায় কেমন লাগবে— সেটাও ভাবা দরকার।
আরও পড়ুন:পোশাক ও গয়নায় ‘উমার সাজে’, আয়োজনে অপরাজিতা আঢ্য
আরও পড়ুন:ক্লিভেজ দেখালেই সেক্সি হওয়া যায় না
কুর্তির মধ্যে ট্র্যাডিশনাল লম্বানির কুর্তা পুজোতে পরলে বেশ চোখে পড়বে। আমাদের দেশ থেকে কিছু শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে। হাতে তৈরি জিনিসের প্রতি একটু সচেতন হতে হবে আমাদের। বেনারসে হাতের তৈরি বেনারসি কমে গেছে। ফুলিয়ায় হাতে তৈরি শাড়ি কমে যাচ্ছে। আসুন না, এই পুজোয় এই হাতে তৈরি শাড়ি যা আমাদের সম্পদ তাকেই ট্রেন্ড করে তুলি।