প্রতীকী চিত্র
পুজোর কেনাকাটা প্রায় শেষের মুখে।গলার, হাতের, কানের, এমনকি পায়ের গয়নাও কিনে ফেলেছেন। কিন্তু, জানেন কি নাকছাবি আপনার সাজে একেবারে একটা অন্য মাত্রা যোগ করতে পারে?
সোনা বা রুপোর উপর দামি হীরে, মুক্তো, চুনি বা পান্না বসানো নাকছাবি তো আছেই, সঙ্গে, বর্তমানে আদিবাসী নকশার বড় বড় রুপোর নাকছাবিও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
নাকছাবি একাধারে আবেদন এবং আভিজাত্যের প্রতীক। নাকছাবি মানে এর মধ্যে পড়ে নথ, বেসর এবং আরও নানা ধরনের নাকের অলংকার।
নথ
পুজোর সাজে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে পারে নথ। অষ্টমীর অঞ্জলিতে লাল পাড় সাদা শাড়ির সঙ্গে পরা যেতে পারে বেশ বড় আকারের নথ। সাধারণত, হীরে, মুক্তো, পলা লাগানো থাকে নথে। তবে এখন ‘কস্টিউম জুয়েলরি’-ও বাজারে উপলব্ধ। ভার সামলানোর জন্য নথের সঙ্গে সরু চেন জুড়ে দেওয়া হয় যা পরার সময়ে চুলের খোঁপায় আটকে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও রয়েছে ঝুমকো দোলানো নথ, যার নাম ঢেঁড়ি নথ। সাধারণত পশ্চিম ভারতের বিবাহিতারা খুব ভারী নথ পরতে অভ্যস্ত।
নাকছাবি বা নাকফুলসোনা
নাকছাবি বা নাকফুলসোনা বা রুপোর উপর দামি হীরে, মুক্তো, চুনি বা পান্না বসানো নাকের গয়নাকে বলে নাকফুলসোনা। নানা আকারের হতে পারে এই গয়না এবং খুব সহজেই খোলা-পরা যায়।
নাকপাশা
নাকছাবির মত বড় আকারের গয়নাকে বলে নাকপাশা। বর্তমানে উপজাতীয় নকশার বড় বড় রুপোর নাকছাবি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আগে এই গয়নাই নাকপাশা নামে পরিচিত ছিল।
মাকড়ি
মাকড়ি হল নথের একপ্রকার ছোট সংস্করণ। সাধারণ মাকড়ির পাশাপাশি নানা ধরনের কারুকাজ করা মাকড়ি পাওয়া যায়। মরাঠি মহিলারা যে নথনি পরেন, সেটিও এক প্রকার মাকড়ি।
বেসর ও নোলক
বেসর ও নোলক নাকের সেপট্রামে ছিদ্র করে পরা হয়। এর কারুকাজ হয় নজরকাড়া। নোলকে সাধারণত ঠিক মাঝখান বরাবর থাকে ছোট কুন্দফুল থাকে, সঙ্গে খুব ছোট্ট একটি ঝালর লাগানো থাকে। নোলক আজকাল খুবই জনপ্রিয়, শাড়ি হোক জিন্স, সবরকম সাজেই মেয়েরা রুপোর নোলক পরতে পছন্দ করে।
তবে আর কি, আজই বেছে নিন আপনার পোশাকের সঙ্গে মানানসই নাকের গয়না এবং পুজোর প্যান্ডেলে হয়ে উঠুন অনন্যা।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।