সদ্য তিনি ওয়েব সিরিজের জগতেও পা দিয়েছেন। তাঁর সাহসী চরিত্র, পোশাক থেকে সাজগোজ, সব কিছুতেই তাঁর আবেদন ছড়িয়ে পড়ে সকলের মধ্যে। তিনি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
আজও তাঁর সাজের ইশারা আলোড়ন তোলে মানুষের বুকে। তিনি কখনও বেপরোয়া, আবার কখনও সাবেকি, ঘরোয়া। তিনি পর্দায় যেমন সাবলীল অভিনেত্রী তেমনই তাঁর সাজ থেকে অনুষঙ্গ সব কিছুতেই ছক ভাঙার গল্প।
পুজোর দিনে এক্কেবারে ব্যাকরণ-ভাঙা সাজই তাঁর পছন্দ। তা হোক না ইন্দো-ওয়েস্টার্ন বা সাবেকি পুজোর সাজ, সবেতেই তিনি হিল্লোল তুলতে পারেন মানুষের মনে। তাঁর চোখের চাহনি, তাঁর মুক্তঝরা হাসি মুগ্ধ করে সকলকে, তিনি আজও পরিচালক থেকে দর্শক, সকলের নয়েনের মণি!
ঝাড়বাতির শত আলোতেও তাঁর ঔজ্জ্বল্যে ম্লান হয় না। তিনি সাদা রঙের পোশাকেও সমান মায়াবী। নাকে নোলকের ঢঙে নাকছাবিতেও কিন্নরী!
খোলা চুলের সঙ্গে চোখে রয়েছে হরিণের চপলতা। গলায় রুপোলি বিডসের লম্বা হার, আর কাফতানের ঢঙে সাদার সঙ্গে সরু পাড়ের সুতোর কারুকাজ। এতেই তাঁর ষষ্ঠীর দিন আলোয় আলো হয়ে উঠবে।
গামছা প্রিন্টের রংবেরঙের টপ আর স্কার্টের সঙ্গে মানানসই ধূসর রঙের কাফতান ঢঙের শ্রাগ, সব মিলিয়ে তাঁর সাজ যেন সপ্তমীর সন্ধের তুমুল আড্ডার জন্যই তৈরি।
নজরকাড়া মোহময়ী সাজে ঋতুপর্ণা। তাঁর কাফতান হাতায় রঙিন কাপড়ের ছাপা। সঙ্গে রয়েছে রুপোলি ভারী গয়না। গলায় অনেকগুলি হারের পাশাপাশি কানে রয়েছে লম্বা দুল। হাতে রয়েছে কারুকাজ করা রুপোলি আংটি। সঙ্গে রয়েছে হাতের রুপোলি চুড়ি। কাজল কালো ঘন চোখের সাজ ও বাঁধা চুলে তিনি পুজোর জন্য তৈরি। নিজে মুখেই আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন এখনও বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যেতেই ভালবাসেন তিনি।
আনত চোখের সঙ্গে ঠোঁটে লাস্যময়ী হাসি। ঋতুপর্ণা একদমই ভিন্ন মেজাজে পুজো কাটানোর পরিকল্পনায়। পুজোর দিনে মায়ের বাড়িতে সময় কাটানো এখনও তাঁর আদুরে চাওয়া!
কালো স্লিভলেস ব্লাউজ আর সাদায় রঙিন গামছার প্রিন্টের শাড়িতে অষ্টমীর সাজেও তিনি সাহসী, বেপরোয়া। খোলা চুলে অষ্টমীর দিনের সকালের সাজ নাকি রাতের, বেছে নিতে পারেননি এখনও।
ঘন কাজলটানা চোখ, আর হালকা গোলাপী লিপ্সটিক, তাতেই তিনি চমকে দিয়েছেন সকলকে। প্রসাধন বলতে যখন হুধুই কাজল, আর গয়নাও প্রায় নেই বললেই চলে, তখন নজর থাকে শুধুই সাজের দিকে। নবমীর সাজ হোক সবুজ কিন্তু একদম বাঁধনছাড়া। অফশোল্ডার টপ আর কাঁচুলি করে শাড়ি পরে নবমীতে উষ্ণ আবেদনে গা ভাসিয়েছেন রুপোলি পর্দার চিরদিনের তন্বী!
নবমীর সাজ হোক সবুজ কিন্তু একদম বাঁধনছাড়া। অফশোল্ডার টপ আর কাঁচুলি করে শাড়ি পরে নবমীতে উষ্ণ আবেদনে গা ভাসিয়েছেন রুপোলি পর্দার চিরদিনের তন্বী!
কচি কলাপাতা রঙের শাড়ি আর একই রঙের ব্লাউজ-টপ। সঙ্গে এক ঢাল খোলা চুল, তাতেই কিস্তিমাত। ‘নয়ন ভুলানো এলে’ বুঝি!
তাঁর গলায় রয়েছে অন্য ধাঁচের ভারী নেকপিস। ফুলেল সাজে গলা ভরা গয়না নজর কাড়ছে সব্বার। হাতে বড় আংটি ও ব্রেসলেট। তিনিই আসল আকর্ষণ।
টানা টানা চোখে ঘন ধোঁয়া-ধোঁয়া কাজলের সাজ। এ বারেও ঠোঁটের সাজে লিপস্টিক একদম হালকা।
কিন্তু সাজের কোনও ঘাটতি নেই, নবমীর রাতের জন্য এই সাজেই বাজিমাত করবেন তিনি।
এখনও পুরনো প্রেমিককে সামনে দেখলে রাতে খাবার খেয়ে যেতে বলতে পারেন অনায়াসে।
তিনি আত্মবিশ্বাসী, তিনি অনন্যা। তিনি চিরদিনের প্রেমাতুর!এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।