'জয় বাবা ফেলুনাথ'-এ ফেলুদাকে ছোট্ট রুকুর দাদু বলেছিলেন, একটা তিন ইঞ্চির গণেশ মূর্তি কারও ভাগ্য ফেরাতে পারে না!
কিন্তু বর্তমানে অনেক তাবড় তাবড় যশস্বী মানুষজন, বিশেষ করে জনপ্রিয় অভিনেত্রীরা নীল রং আর কাঁচ দিয়ে তৈরি বৃত্তাকার, অনেকটা চোখের আকারে একটা ছোট্ট 'প্যাটার্ন'-কে তাঁদের ভাগ্যের নিয়ন্তা ভাবছেন। গভীর বিশ্বাসের সঙ্গে তাকে যে যার নিজের নেকলেস কিংবা ব্রেসলেটের সঙ্গে বা কেউ গলায়, কেউ হাতে পরছেন। যাকে ইংরেজিতে বলা হচ্ছে ইভিল আই।
জানেন কি দীপিকা পাড়ুকোন বা মিমি চক্রবর্তী কেন পরেন এমন ব্রেসলেট? কিংবা প্রিয়ঙ্কা চোপড়া কেন পরেন এমন নেকলেস? জাহ্নবী কপূর হয়তো মলদ্বীপের সমুদ্রতীরে বসে আছেন, তখনও তাঁর গলায় ঝুলছে ইভিল আই সোনার চেন। দেবের বিশেষ বান্ধবী রুক্মিণী-রও ভীষণ পছন্দ ইভিল আই পেনডেন্ট। তিনি এতটাই বিশ্বাস করেন এই 'সিম্বল'-কে যে, ইনস্টাগ্রামে দেব-এর সঙ্গে একত্রে যত ছবি পোস্ট করেন তার প্রায় প্রতিটার নীচের এক কোণে থাকে ইভিল আই প্রতীক। 'মেয়েবেলা' সিরিয়ালের 'মউ', মানে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করা স্বীকৃতি মজুমদারের গলাতেও ঝোলে এমন পেনডেন্ট।
তা হলে কী বোঝা গেল? এমন নেকলেস-ব্রেসলেট-সোনার হার আপনাকে কি সামনের সম্ভাব্য কুনজর থেকে রক্ষা করবে? গুচ্ছ গুচ্ছ অভিনেতা কিন্তু বাজারে এমন হাওয়া বইয়ে দিচ্ছেন!
এর জ্যোতিষী-ব্যাখ্যাও শোনা যাচ্ছে। কী সেটা? না, আপনি নাই’বা হলেন কোনও যশস্বী ব্যক্তি! তা হলেও আপনার বাড়ির বসার ঘরে এমন জায়গায় এমন একটা ইভিল আই লাগাতেই পারেন, যাতে বাইরে থেকে লোক এলেই সেটা দেখতে পায়। আর এক্ষেত্রে তার যদি আপনার বাড়ির ওপর কুনজর দেওয়ার বাসনা থাকে, সেই কুনজর আপনার সংসারে লাগবে না। দাবি এমনই।
কী বুঝলেন? ইভিল আই রাখবেন নাকি বাড়িতে? বা পরবেন নাকি এবারের পুজোয় এমন নেকলেস বা ব্রেসলেট? নাকি ফিক করে হেসে নিয়ে পাশ ফিরবেন?
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।