দুর্গার পাশে শিবকে নানা ভাবে দেখতে পাই আমরা। কিন্তু কালীর সঙ্গে শিব মানেই তিনি কালীর পায়ের নীচে শায়িত।
দু’টি রূপে পূজিতা মা কালী। কোথাও দেবীর ডান পা এগিয়ে থাকে, আবার কোথাও বাঁ পা। বিগ্রহে ডান পা এগিয়ে থাকলে তিনি দক্ষিণা কালী।
আবার কোথাও দেবীর বাঁ পা এগিয়ে থাকতে দেখা যায়। বাঁ পা এগিয়ে থাকলে তিনি বামা কালী।
রক্তবীজকে যুদ্ধে হারিয়ে বিজয়ের উল্লাসে তাণ্ডব নৃত্য শুরু করেন কালী। দেবীর উন্মাদ নৃত্যে স্বর্গ জুড়ে তখন ত্রাহি ত্রাহি রব।
অসুরদের ধড়হীন মুণ্ড দিয়ে তিনি বানিয়ে নেন গলার মালা। এবং অসুরদের হাত দিয়ে কোমরবন্ধ বানিয়ে পরেন।
দেবতারা ছুটলেন মহাদেবের কাছে। কারণ কালীর বিজয় নৃত্যে সৃষ্টি ধ্বংস হওয়ার উপক্রম।
মহাদেব কালীর নাচ বন্ধ করতে উদ্যত হলেন। কিন্তু উন্মাদিনী কালী কোনও কথা শুনতেই পেলেন না।
উপায়ান্তর না দেখে মহাদেব কালীর রুদ্রমূর্তি তাণ্ডব নৃত্য বন্ধ করার উদ্দেশ্যে মায়ের সামনে সশরীরে শায়িত হন।
নৃত্যরতা মা কালী যখন শিবের বুকে পা দিয়ে ফেলেন, তখন এক প্রকার সম্বিৎ ফিরে পান। এবং স্বামীর বুকে পা দিয়েছেন দেখে লজ্জায় তাঁর জিভ বেরিয়ে আসে।
এই পৌরাণিক কাহিনি অবলম্বনেই বিভিন্ন চিত্রকলা। কালীর সকল রূপে এই রুদ্র মূর্তি প্রত্যক্ষ করি আমরা।