কালীপুজো নিয়ে চর্চায় নৈহাটির বড় মা-র কথা উঠবে না, তা-ও আবার হয় নাকি? এই পুজোর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে গোটা রাজ্য তথা দেশ-বিদেশে।
মায়ের প্রতি অগাধ বিশ্বাস সকলের। তাই প্রত্যেক বছর ভক্তদের ঢল নামে কালীপুজোয়। এ বছরটাও তার ব্যাতিক্রম নয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই যথারীতি বেড়েছে জনসমাগম।
দেখতে দেখতে এই পুজোর বয়স নব্বই বছর পার। প্রতিমার উচ্চতা ২১ ফুট। মাচা বেঁধে সিঁড়ি দিয়ে উঠে তবেই মা-কে পরানো হয় গয়নাগাঁটি।
কালীপুজোয় মা সেজে ওঠেন সোনার অলঙ্কারে। তা দেখতেও ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। এ বারেও যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় করেই এসেছিলেন অগণিত ভক্ত।
শুধু যে গয়না দেখতেই ভিড়, তা নয়। বড় মা-র পুজোয় মানত করেন অনেকেই। ভক্তদের বিশ্বাস, মায়ের কাছে শুদ্ধ মনে কিছু চাইলে পূরণ হয় সেই বাসনা।
নৈহাটি স্টেশন রোড থেকে গঙ্গার জেটি ঘাটের দিকে এগোলে চোখে পড়বে মায়ের মন্দির। তার উল্টো দিকেই মণ্ডপ।
রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়ে গঙ্গার ঘাটে। সেখান থেকে দণ্ডি কেটে ভক্তেরা রওনা হন মণ্ডপের দিকে। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই ছিল জনসমুদ্র।
জানা গিয়েছে, এ বারেও ৫ হাজারের বেশি ভক্ত দণ্ডি কেটে মানত করেন বড় মায়ের কাছে। মা এখানে পূজিতা হন দক্ষিণা কালী রূপে।
প্রত্যেক বছর পুজোর রাতে ভোগে থাকে পোলাও, খিচুড়ি থেকে পাঁচ রকম ভাজা, তরকারি, লুচি, চাটনি ও পায়েস। এ ছাড়াও পুজোর আগের দিন রাতে রয়েছে লাড্ডু ভোগ দেওয়ার প্রথা। পুজোর পরের চার দিনেও থাকে আলাদা আলাদা ভোগের ব্যবস্থা।
চমক রয়েছে বিসর্জনেও। মায়ের ও শিবের চোখের গয়না ছাড়া খুলে নেওয়া হয় বাকি সব অলঙ্কার। তার পর প্রতিমা সাজানো হয় ফুলের সাজে। অবশেষে বিশাল ট্রলির সাহায্যে বিসর্জন হয় গঙ্গায়।