দেশীয় সংস্কৃতির আদান-প্রদান যত বাড়ছে, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ধনতেরসের উন্মাদনাও। বেশ কয়েক বছর হল, বাঙালিদের মধ্যেও ধনতেরস পালনের উৎসাহ ক্রমবর্ধমান। এ বছর ২৩ অক্টোবর ধনতেরস পালিত হবে।
শাস্ত্রমতে এই দিনে কুবের ও ধন্বন্তরীর পুজো হয়। হিন্দু শাস্ত্রে কুবের হলেন ধনসম্পদের দেবতা। আবার ধন্বন্তরী হলেন বিষ্ণুরই আর এক রূপ, যিনি সমুদ্র মন্থনের সময়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাঁর হাতে ছিল অমৃত কলস।
ধনতেরসকে সোনা, রুপো থেকে শুরু করে আসবাব কিংবা গ্যাজেটস কেনার আদর্শ সময় ধরেন অনেকেই। শাস্ত্রে বলা হয়, এই সময়ে যে কোনও কেনাকাটা করলেই নাকি লাভের মুখ দেখবেন মানুষ।
ধনতেরসের দিনে তাই লক্ষ্মীনারায়ণ এবং কুবেরের পুজো করা হয়। পঞ্জিকা মতে, চলতি বছরের কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথি ২২ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ২ মিনিটে শুরু। শেষ হবে ২৩ অক্টোবর, রবিবার ৬টা ৩ মিনিটে।এ বছর ধনতেরসের পুজোর সবচেয়ে শুভক্ষণ থাকতে চলেছে মাত্র ২১ মিনিটের জন্য। রবিবার বিকেল ৫টা ৪৪ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিট পর্যন্ত।
শাস্ত্রবিধানে ১৬ ক্রিয়ার পুজো সম্পন্ন করা উচিত এই দিন। আসন, পাদ্য, অর্ঘ্য, স্নান, বস্ত্র, আভূষণ, সুবাস(কেশর বা চন্দন), পুষ্প, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য, আচমন(শুদ্ধ জল), দক্ষিণাযুক্ত তাম্বুল, আরতি, পরিক্রমা ইত্যাদি ১৬ ক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছে।
অনেকে বিশ্বাস করেন, এই দিনে বাসন কিনলে সমৃদ্ধির শুভযোগ তৈরি হয়। তাই পিতল ও রুপোর বাসন কেনার প্রথাও রয়েছে। সে কারণেই এই তিথিকে ধনতেরস বা ধন ত্রয়োদশী বলে অভিহিত করা হয়। দীপ জ্বালানোর উৎসব বা দীপাবলির আনুষ্ঠানিক সূচনাও হয় এই শুভ মুহূর্ত থেকেই।