দুর্গারই আর এক রূপ। তিনিও ত্রিনয়না। তবে দুর্গার মতো দেবী জগদ্ধাত্রীর দশটি নয়, চারটি হাত।
আবার দেবী দুর্গার মতোই জগদ্ধাত্রীও সিংহবাহিনী। দেবীর দুই বাম হাতে থাকে শঙ্খ ও শার্ঙ্গধনু। দুই ডান হাতে চক্র ও পঞ্চবাণ।
মহিষাসুরকে শায়েস্তা করতে দুর্গা চতুর্ভুজা রূপে আবির্ভূত হন। সেই তাঁর জগদ্ধাত্রী রূপ।
হাতে ধরা চক্রে হস্তিরূপী অসুরের শুঁড় কেটে দেন। দুর্গার বাহন সিংহ যেমন মহিষের উপরে দাঁড়িয়ে থাকে, জগদ্ধাত্রীর বাহন সিংহ তাই দাঁড়ায় হাতির উপরে।
সংস্কৃতে হাতির অপর নাম করী। কথিত, দেবী জগদ্ধাত্রী করী বা হস্তিরূপী অসুর করীন্দ্রাসুরকে বধ করেছিলেন। তাই তাঁকে বলা হয় করীন্দ্রাসুরনিসূদিণী।
কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে দেবী জগদ্ধাত্রীর আরাধনা করা হয়। কেউ দুর্গাপুজোর মতো সপ্তমী থেকে নবমী মহাসমারোহে জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করেন।
কেউ আবার কেবল নবমীতেই তিন বার আয়োজন করেন সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী পুজোর। এক দিনেই হয় গোটা পুজো।
উদ্দীপনায় অবশ্য দুই-ই সমান। ঐতিহ্য আর জৌলুসেও।