বঙ্গদেশের ইতিহাসের পাতায় তাঁর নাম উঠে এসেছে বারবার। কথিত, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের নামেই জলঙ্গি নদীর তীরের নদিয়ার জেলা সদর কৃষ্ণনগর শহরের স্থাপনা।
ক্ষয়প্রাপ্ত কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ি এখনও পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য।
রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের আমলে তৈরি এই বিশাল স্থাপনা জরাজীর্ণতার মাঝেও চোখ ধাঁধিয়ে দেয় তাবড় ঐতিহাসিকদের।
রাজবাড়ির আনাচেকানাচে আজও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ঐতিহাসিক নিদর্শন।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা হল ঠাকুরদালান। পুজোমণ্ডপের সেই পঙ্খের অসাধারণ কারুকার্য নজর কাড়ে।
রাজকীয়তার ছাপ আজও বহন করে চলেছে পুজোমণ্ডপের থাম, খিলানগুলি। তার বিশালত্বের নজির পশ্চিমবঙ্গে অন্যতম।
দোল পূর্ণিমার ঠিক পরেই চৈত্র মাসের শুক্লা একাদশী তিথিতে বিরাট মেলার আয়োজন হয় রাজবাড়ি প্রাঙ্গণে।
বড় নারায়ণ হলেন নদিয়ারাজের কুলদেবতা। তাই দোলের পরে আয়োজিত এই বিশাল মেলাকে বলা হয় ‘বারোদোলের মেলা’।
এই সময়ে বড় নারায়ণের প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহের পাশাপাশি আরও ১২টি কৃষ্ণের বিগ্রহ দুর্গা দালানে পাশে কাঠের সিংহাসনে সাজিয়ে রাখা থাকে।
এবং এখানকার অন্যতম বিশেষত্ব হল, সকলের পুজো হয় একসঙ্গেই। সাধারণ মানুষ তিন দিনের জন্য রাজবাড়ির একটি অংশে প্রবেশ করে এই পুজো দর্শনের সুযোগ পান।