কালীপুজো, ভাইফোঁটার রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই জগদ্ধাত্রীপুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে! আর জগদ্ধাত্রীপুজো মানেই সকলের নজর চন্দননগরের দিকে। বছরের এই সময়টায় নব কল্লোলে সেজে ওঠে হুগলি জেলার এই শহর।
আলোর সাজ, আকাশছোঁয়া প্রতিমা, রাস্তার ভিড় — সব মিলিয়ে এখানকার জগদ্ধাত্রী পুজোর জৌলুস মনে করিয়ে দিতে পারে দক্ষিণ কলকাতার নামী মণ্ডপে ভিড়ের কথাও।
এ বারেও তার অন্যথা হয়নি। অতিমারি কাটিয়ে চেনা ছন্দে ফিরেছে চন্দননগর। এই সময়ে দাঁড়িয়ে চন্দননগরের ছবিটা ঠিক কেমন? চলুন, এক ঝলকে আনন্দ উৎসবের পাতায় দেখে নি চন্দননগরের সেরা কিছু জগদ্ধাত্রীপুজো!
নিয়োগী বাগানে জগদ্ধাত্রীপুজোয় দেবীর সেজেছেন ডাকের সাজে।
রথের সড়ক সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পূজা সমিতির পুজোয় এই বছর দেবীর স্নিগ্ধ গোলাপি রঙের সাজ।
দৈবকপাড়া সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটি এই বছর মণ্ডপ সাজিয়েছে পুরো অন্য রকম ভাবে। প্রতিমায় মিলেমিশে গিয়েছে আধুনিকতার সঙ্গে সাবেক সাজ!
উর্দিপাড়া সর্বজনীনের জগদ্ধাত্রী আরাধনায় মণ্ডপ সেজে উঠেছে সোনালি রঙে। দেবীর সাজেও রয়েছে সাদা ও সোনালি ছোঁয়া।
মধ্যাঞ্চল সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পূজা সমিতি এই বছর শ্বেত-শুভ্র ডাকের সাজে সাজিয়ে তুলেছেন তাদের প্রতিমাকে। দেবীর সাজে রয়েছে নীলাভ ছোঁয়া!
প্রতি বছরের মতো এবারেও অম্বিকা অ্যাথলেটিক ক্লাব সাড়ম্বরে করছে জগদ্ধাত্রীপুজো। তাঁদের মণ্ডপসজ্জা নীল রঙের আভায় ঘেরা, আর দেবী সেজে উঠেছেন স্নিগ্ধ ডাকের সাজে।
হেলাপুকুরধার জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটির এ বছরে নজর কেড়েছে সবার। মাতৃ প্রতিমার গহনা, মুকুট থেকে আটচালা, সবটাই তৈরি করা হয়েছে সোনা দিয়ে।
নতুনপাড়া জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটির পুজোয় ফুটে উঠেছে মায়ের সাবেক রূপ! ডাকের সাদা সাজ ও ঘন নীল আলোর মণ্ডপসজ্জা সম্পূর্ণ করেছে দেবীর মাতৃময়ী আকার।