সামনেই পুজো। এ বছরের শারদীয়ার আবহে কেমন সাজলেন অভিনেত্রী অনুষা বিশ্বনাথন? আনন্দবাজার অনলাইনের পুজো-শ্যুটে তারই এক ঝলক দিলেন কন্যে।
মোট তিন রকম সাজে দেখতে পাওয়া গেল তাঁকে, যার মধ্যে দু'টিই শাড়ি। শাড়ি পরার ক্ষেত্রে তিনি রীতিমতো সুযোগ-সন্ধানী, সুযোগ পেলেই শাড়ি পরেন। কিন্তু সাবেক ঢঙে শাড়ি তো সব সময়েই পরা হয়। অনুষা খুঁজছিলেন অন্য রকম কিছু...
সেই ভাবনা থেকেই প্রথম সাজ। সাদা যে কখনও উৎসবের রং হয় না— এই প্রথাগত ধারণা ভাঙলেন। সাদা শিফনের শাড়ির সঙ্গে পরলেন ফুলের নক্সা করা পুরো হাতা গোলাপি রঙের ব্লাউজ।
দিনের বেলার রোদ ঝলমলে সাজ এটি। তাই সঙ্গে অনুষা নিয়েছেন রোদ-চশমা। কানে কুন্দনের ভারী দুল।
শ্যুটের আগের দিন পর্যন্ত আউটডোরে ছিলেন নায়িকা। পরের দিন থেকে শুরু নতুন শ্যুট। তার মাঝে এক দিন ফাঁকা। তার মধ্যে সেই দিন মারাত্মক ঝড়-বৃষ্টি, কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন। কিন্তু পুজো বলে কথা! পুজোর শ্যুট কি আর বাতিল করা যায়?
অগত্যা স্টুডিয়োর ভিতরেই হল শ্যুট। একটা সাজের পর্ব শেষ, এ বার সাজ বদলে পরের পোশাক এবং আবার শাড়ি।
আগেরটি ছিল দিনের সাজ, এটি রাতের। এমব্রয়ডারির কাজ করা হালকা সোনালি রঙের শাড়ি পরলেন এ বার। গলায় চোকার, কানে মাননসই দুল। আগের সাজের থেকে পুরোদস্তুর আলাদা সাজ, কিন্তু তাতেও বাজিমাৎ।
উৎসবের ঝলমলে সাজে সপ্রতিভ অনুষা। এই আভা কি উৎসবের জন্য, নাকি ক্যামেরার ওপারের মানুষটির জন্য?
চিত্রগ্রাহক তথাগত ঘোষের সঙ্গে তাঁর গাঢ় বন্ধুত্বের প্রভাব ছবিগুলিতে। হাসি-মজা-খুনসুটি মিলিয়ে জমজমাট তাঁদের সম্পর্ক। অনুষার নিজের কথায়, ‘‘তথাগত যেমন উৎসাহও দেয়, তেমন আবার পিছনে লাগতেও ছা়ড়ে না।’’
অনুষার দাবি, বিশেষ করে পোশাক বদলের সময়ে ভীষণ তাড়া দেন তথাগত। সব সময় বলতে থাকন, ‘‘তাড়াতাড়ি কর।’’
তবে তাড়াতাড়ি করতেই হত। সে দিন যে শহরে ঘূর্ণাবর্তের পূর্বাভাস! শ্যুটিংয়েও প্রায় আতঙ্কের পরিবেশ— এই বুঝি সব ভেসে যায়...
মুহূর্তে বদলে গেল সাজ। শাড়ির বদলে এ বার লেহেঙ্গা চোলি। সাদা-লালের সমন্বয় এবং উৎসব— এই চিরন্তন জুটির যে কোনও তুলনা নেই আজও, তা অনুষা আবার বুঝিয়ে দিলেন।
গোটা পাট্টির পাড় ও কুন্দনের ভারী গয়নার সঙ্গে ছোট্ট লাল টিপ আর টিকলি— এতেই মাতিয়ে দিলেন অভিনেত্রী। অষ্টমী বা নবমীর সাজ হিসেবে একেবারে আদর্শ এই লেহেঙ্গা।
শ্যুট শেষও হল বেশ তাড়াতাড়িই। বন্ধু চিত্রগ্রাহককে একেবারে ভুল প্রমাণ করে সাড়ে তিন ঘন্টার মধ্যেই কিন্তু কাজ সেরে ফেললেন অনুষা।
ছবি: তথাগত ঘোষ। রূপটান ও কেশ-সজ্জা: প্রীতম দাস। সাজ: ঐন্দ্রিলা বসু।