পিতৃপক্ষের অবসান, মাতৃপক্ষের সূচনা। মহালয়ার পূণ্য তিথির সঙ্গে সঙ্গেই শহর জুড়ে শুরু হয়ে যায় মাতৃ আরাধনা।
পুরাণ থেকে মহাভারত, মহালয়া ঘিরে বর্ণিত আছে নানা কাহিনি। মহালয়ার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ রীতি।
প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী, এই দিনেই আঁকা হয় মায়ের চোখ। অর্থাৎ চক্ষুদান করা হয় মাতৃপ্রতিমার।
সেই চক্ষুদানের মাধ্যমেই কুমোরটুলিতে শুরু হয় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কোমর বেঁধে নেমে পড়েন শিল্পীরা।
উদ্বোধন থেকে মণ্ডপে প্রতিমা পাঠানো, ইত্যাদির চাপে বেশিরভাগ প্রতিমার কাজ আগে-ভাগে শেষ করে রাখা হয়।
তবে আজও মহালয়ার সকালে নিয়ম করে একটি বা দু’টি ঠাকুরের চোখ আঁকেন শিল্পীরা।
এই বছর কুমোরটুলির ছবিটা অন্য। অতিমারি পরিস্থিতি কাটিয়ে ফের পুজোর ছন্দে ফিরেছে শহর।
ফলে ব্যস্ততা বেড়েছে। বেড়েছে প্রতিমার বায়নাও।
ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মণ্ডপে প্রতিমা চলে এসেছে। শুরু হয়ে গিয়েছে উদ্বোধনও।
সেই সঙ্গে গোটা শহর সেজে উঠেছে শারদীয়ার সাজে।