বিয়ের পর তাঁদের প্রথম পুজো। কিন্তু আপাতত কাজ নিয়েই ব্যস্ত ওম সাহানি এবং মিমি দত্ত। তবে তাঁদের পুজোর সাজ কেমন হবে, সেই ঝলক প্রথম প্রকাশ্যে এল আনন্দবাজার অনলাইনে।
নবদম্পতিকে সাজানোর দায়িত্ব পড়েছিল পোশাক শিল্পী অনুশ্রী মলহোত্রর উপর। মিমির কথায়, “অনুশ্রীদির সঙ্গে কাজ করতে বরাবরই ভাল লাগে। ও সাজালে আমাদের আর আলাদা করে কোনও কিছু ভাবতে হয় না। এ বারও সে রকমই হয়েছে। আমাদের কোনও চিন্তাই ছিল না।”
মিমি-ওমকে দু’ভাবে সাজিয়ে তুলেছেন অনুশ্রী। প্রথমে শাড়ি-পাঞ্জাবিতে নিখাদ ভারতীয় সাজে দেখা গিয়েছে তাঁদের। এর পর লম্বা ঝুলের জামায় আর ছোট ঝুলের কুর্তায় ভারতীয় সাজের সঙ্গে মিশেছে পশ্চিমি আমেজ।
মিমি পরেছেন বেগনি রঙের খাদির শাড়ি। পুজোর সময় নতুন বউকে বাহারি সাজে সাজাতেই উজ্জ্বল রং বেছে নেওয়া হয়েছে। হাতে বোনা শাড়ি দেখতে যেমন সুন্দর, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখার ক্ষেত্রেও এই শাড়ির জুড়ি মেলা ভার।
মিমির বেগনি শাড়ির সঙ্গে ওমের জন্য মানানসই পাঞ্জাবি বেছে নিয়েছেন অনুশ্রী। লাল খাদির পাঞ্জাবির উপর স্থানীয় শিল্পীদের তৈরি গামছা, ব্লক প্রিন্ট এবং কাঁথার কাজ। তাঁর কথায়, “মিমির উজ্জ্বল বেগনি শাড়ির কথা মাথায় রেখেই ওমের জন্য এই পাঞ্জাবি বেছে নিয়েছি। দু’জনকে একসঙ্গে আরও বেশি মানাচ্ছে।”
এর পরেই শাড়ি থেকে লম্বা ঝুলের জামায় সেজে উঠলেন। তাঁর জামার উপরের দিকে তসরের উপর কাঁথার কাজ, নীচের অংশে রয়েছে লাল খাদি। পুজোর সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, মূলত সেই কারণেই এই ধরনের জামা পছন্দ করে নিয়েছেন মিমি।
অন্য দিকে, খাদির জামার উপর সবুজ রঙের খাদির কুর্তায় সেজে উঠেছেন ওম। কাঁধের কাছে সুতো দিয়ে দিয়ে কারুকাজ করা এই কুর্তায় এসে মিশেছে ভারতীয় এবং পশ্চিমী শৈলী।
ফোটোশ্যুটের মাঝেই চলেছে দু’জনের খুনসুটি, আড্ডা, গল্প। কখনও ছবি তোলার ফাঁকে মিমির দিকে তাকিয়ে নিচ্ছেন ওম। কখনও আবার লেন্সের দিকে তাকিয়েই হেসে উঠছেন মিমি।
পুজো নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও পরিকল্পনা করে উঠতে পারেননি ওম। তবে ইতিমধ্যেই শহরের ভিড় থেকে দূরে কোথাও পাহাড়ে গিয়ে ছুটি কাটানোর ইচ্ছে প্রকাশ করে ফেলেছেন মিমি। তাঁর ইচ্ছা কি পূরণ করবেন ওম?
কিন্তু এক দিকে যেমন পাহাড়ের হাতছানি, অন্য দিকে তেমনই দশমীতে সিঁদুর খেলার জন্য মন কেমন। আনন্দবাজার অনলাইনকে মিমি বলেছিলেন, “ঘুরতে গেলেও চেষ্টা করব দশমীর আগে চলে আসার। জীবনে প্রথম সিঁদুর পরে মাকে বরণ করব। ওমের সঙ্গে সিঁদুর খেলব।”
পাহাড়ে যাওয়া না হলে কলকাতাতেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর পরিকল্পনা ইতিমধ্যে সারা। খেতে ভালবাসেন দু’জনেই। সুতরাং পুজোর চারটে দিন চলবে দেদার পেটপুজো।
তবে কি রেস্তরাঁর লম্বা লাইনে দেখা তাঁদেরও? মিমি বললেন, “পুজোর চারটি দিন তাই নিজেরাই রান্না করি। বিরিয়ানি, চিকেন চাপ, তন্দুরি— কী থাকে না খাবারের তালিকায়!”
সদ্য ‘হইচই’-এর একটি সিরিজের কাজ শেষ করলেন মিমি। ওম ব্যস্ত ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ নিয়ে।
যতই কাজ থাকুক, পুজোর চারটে দিন সকলকে নিয়ে সকলের সঙ্গে কাটাবেন ওম-মিমি।
পোশাক: অনুশ্রী মলহোত্র। ছবি: রিও। স্থান: রাহি টি টাইম। পরিকল্পনা: স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়।