বিজয়া দশমী কবেই শেষ। লক্ষ্মীপুজোও সারা। সৌজন্য, গুনগুন, পটকা, মিষ্টি কিন্তু হইহই করে ঠাকুরদালানে! ঢলঢলে মুখের দুর্গা প্রতিমা সপরিবারে দিব্যি একচালায় বসে। দেবী রয়ে গিয়েছেন ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’র স্টুডিয়োয়। ঢাক বাজছে, ধুনো পুড়ছে। দেওয়া হয়েছে নৈবেদ্য। জমে গিয়েছে মুখোপাধ্যায় পরিবারের দুর্গাপুজো।
কখনও ঢাকের তালে নাচছে গুনগুন, মিষ্টি, চিনি। কেউ সেজেছে বেনারসিতে। কেউ জরিপাড় সিল্কের শাড়িতে ঝলমলে।
পুজো উপলক্ষে গুনগুনের শ্বশুরবাড়িতে হাজির তার ‘তিন্নি দিদি’ ওরফে রুকমা রায়। আর সে আসা মানেই সৌজন্য-গুনগুনের মধ্যে কিছু না কিছু সমস্যা! পুজোতেও কি তার থেকে ছাড় দেবে না তিন্নি থুড়ি সৌজন্যের সহকর্মী অনন্যা?
বাড়ির বড় বৌ মিষ্টি কিন্তু মহাখুশি। এক গাল হেসে ফাঁস করেছে, চার দিনের পুজো দু’সপ্তাহ ধরে উপভোগ করতে পারলে মন্দ কী?
একই বক্তব্য পুটুপিসিরও। বাস্তবে সোহিনী সেনগুপ্ত পুজোর আগেই হারিয়েছেন মা স্বাতীলেখা সেনগুপ্তকে। এ বছর কোনও মণ্ডপে যাননি তাই। সেই অভাব মিটিয়ে দিয়েছে তাঁর কর্মস্থল। পর্দার পুটুপিসির দাবি, ষষ্ঠী থেকে নবমী চুটিয়ে উপভোগ করছেন।
আপাতত চলছে নবমীর শ্যুট। বাড়ির মেয়ে ‘চিনি’ ওরফে প্রিয়াঙ্কা মিত্র বেছে নিয়েছেন রানি রঙের সিল্ক শাড়ি। তাতে সরু জরির পাড়। সঙ্গে মানানসই গয়না। পুজো মিটলেও অঞ্জলি থেকে ভোগ খাওয়া, কিচ্ছু ফুরোয়নি মুখোপাধ্যায় পরিবারে। জানিয়েছেন তিনি।
পুজোর ক’টা দিন ফুরফুরে মেজাজ বাড়ির কর্তা সিদ্ধেশ্বর মুখোপাধ্যায় ওরফে জ্যাঠাইয়েরও। ধুতি-পাঞ্জাবিতে সেজেছেন তিনিও। এই চরিত্রের অভিনেতা দুলাল লাহিড়ী জানান, পুজো ফুরোলেও তার অভাব বোধ করছেন না তিনি। কারণ, কাজের দৌলতে প্রতিদিনই ‘খড়কুটো’য় পালিত হচ্ছে উৎসবের এক-একটি দিন।
হাসি, মজা, হুল্লোড়ের মধ্যেই নির্দিষ্ট সময়ে ক্যামেরার মুখোমুখি সৌজন্য-গুনগুন ওরফে কৌশিক রায় ও তৃণা সাহা। অ্যাকশন বললেই তাঁদের রসায়ন জমজমাট। এ ভাবেই যেন চলতে থাকে ধারাবাহিক, সেই কামনা ‘মিষ্টি’ ওরফে রাজন্যা মিত্রের।