তাঁকে জিন্স, খাটো ঝুলের প্যান্টে দেখেই অভ্যস্ত দর্শক। খোলামেলা ‘সাহসী’ পোশাকে তাঁর ছবির ছড়াছড়ি ইনস্টাগ্রামে। অলিভিয়া সরকার। পর্দায় একেবারে পাশের বাড়ির মেয়ে!
এ বার পুজোয় চেনা ছক ভাঙলেন কন্যে। লাল পেড়ে সাদা শাড়ি, এক ঢাল খোলা চুল। অলিভিয়াকে এমন রূপে সচরাচর দেখা যায় না।
দেবীপক্ষে মহামায়া সাজলেন অলিভিয়া। নিজেকে যেন নতুন ভাবে মেলে ধরলেন সকলের সামনে।
কী ভাবছেন অলিভিয়া নিজে? আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “আক্ষরিক অর্থে দেবী দুর্গা আমি সাজিনি। আজকের নারীর সঙ্গে মা দুর্গাকে মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি শুধু।”
অতীতে কখনও কোনও পৌরাণিক সাজে সেজে ওঠার কথা ভাবেননি অলিভিয়া। এমন কোনও চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগও হয়নি তাঁর। এই প্রথম নারীশক্তিকে ফুটিয়ে তোলার ইচ্ছেতেই তাঁর হাতে উঠল ত্রিশূল।
অলিভিয়া বললেন, “ত্রিশূল আমার কাছে শক্তির প্রতীক। মা দুর্গা। আমার হাতে একটা ত্রিশূলের ট্যাটু আছে। এ বার নিজেই হাতে ত্রিশূল তুলে নিলাম। দেবী দুর্গা একজন ভাল স্ত্রী, ভাল মা। আবার তিনিই হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে অশুভকে বিনাশ করেন।”
নিজের মধ্যে সেই অসীম শক্তিকেই ধারণ করতে চেয়েছেন অলিভিয়া। আসানসোল থেকে এসে কলকাতায় একা থাকেন বেশ কয়েক বছর হল। দশভুজার মতোই ঘরে-বাইরে সব দায়িত্ব পালন করে চলেছেন ‘মন্টু পাইলট’-এর সরমা।
এই ব্যস্ততার মধ্যেই পুদুচেরি চলে গিয়েছিলেন অলিভিয়া। ছুটি থেকে ফিরেই আবার ভরপুর কাজে। এরই ফাঁকে পুজো এসে গিয়েছে। কিন্তু কন্যের কেনাকাটাই শুরু হয়নি এখনও!
তা নিয়ে যদিও বিশেষ ভাবনা নেই অলিভিয়ার। তাঁর কথায়, “সাজগোজ বা পোশাক নয়। মানুষের ব্যবহারই শেষ কথা। আমি যদি আত্মবিশ্বাসী হই, আমাকে সুন্দর দেখাবেই। মুখোশ পরে থাকলে তো সবাইকেই সুন্দর লাগে। আসল পরিচয় তাঁর ব্যবহারে।”
ছবি: জয়দীপ দাস, রাজদীপ। সাজ: কিয়ারা সেন, হিমাদ্রি ভট্টাচার্য। রূপটান: বৈশাখী ভৌমিক। কেশসজ্জা শিল্পী: প্রিয়া দাস