নবরাত্রির সপ্তম দিনে দুর্গা পূজিত হন কালরাত্রি রূপে। দেবীর এই রূপ কালী, মহাকালী, ভদ্রকালী, ভৈরবী, রুদ্রাণী, চামুণ্ডা এবং চণ্ডী নামেও পরিচিত।
ভীষণদর্শনা কালরাত্রিকে ‘শুভঙ্করী’ নামেও অভিহিত করা হয়। কারণ তাঁর উপাসনার ফল আদতে শুভদায়ী।
তন্ত্রসাধনা ও তান্ত্রিকচর্চায় কালরাত্রি দেবী প্রাচীনকাল থেকেই পূজিত। মহাভারত, মার্কণ্ডেয় পুরাণ, স্কন্দপুরাণ, দেবী ভাগবৎ পুরাণ, বরাহপুরাণে তাঁর উল্লেখ আছে।
‘কাল’ শব্দের অর্থ সময়। যেখানে সব সময় বিলীন হয়ে যায়, সেটাই কালরাত্রি। আবার স্কন্দপুরাণ অনুযায়ী ‘কাল’ হলেন শিব। তাঁর স্ত্রী ‘কালী’।
চণ্ড ও মুণ্ড অসুরের বিনাশ করে কালীই আবার ‘চামুণ্ডা’। আবার অন্য একটি কিংবদন্তি বলে, দেবী কালী বা চামুণ্ডাই সৃষ্টি করেছেন ‘কালরাত্রি’র।
কালরাত্রির গায়ের বর্ণ রাতের মতোই নিকষ। চতুর্ভুজা দেবীর বাহন গাধা। কখনও আবার তিনি শবের উপর আসীন।
ত্রিনয়না দেবীর এক হাতে ধরা থাকে খড়গ। অন্য হাতের বজ্রমুঠিতে আবদ্ধ বিদ্যুৎ।
রাত্রির প্রতীক এই দেবী তাঁর ভক্তদের জীবন থেকে সব অশুভ প্রভাব বিনাশ করেন।
গৃহস্থদের তুলনায় সাধক ও যোগীদের মধ্যে কালরাত্রির সাধনা অনেক বেশি প্রচলিত।
বারাণসী, বিহার, উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর, পঞ্জাবের পটিয়ালায় দেবী কালরাত্রির মন্দিরে পুণ্যার্থী সমাগম হয় নবরাত্রিতে। তথ্য সহায়তাঃ অর্পিতা রায়চৌধুরী।