করোনা আবহে পুজো। তাই মাস্ককে সঙ্গী করছেন প্রত্যেকেই। কিন্তু একটি বিশেষ ইন্দ্রিয়, চোখের সৌন্দর্যে কিন্তু খামতি থাকবে না এ পুজোতেও। মুখে মাস্ক থাকায় এ বার চোখের মেকআপই সবথেকে বেশি ইন। কাজলনয়না হরিণীর মতো চোখ পেতে গেলে কী করবেন—
সুন্দর চেহারার সবচেয়ে বড় রহস্য লুকিয়ে থাকে চোখে। ঘন, কালো চোখের জাদুতে মজেছেন সকলেই। সাজার সময় সকলেই চান চোখ যেন দেখতে বড়, সুন্দর লাগে। আর নিউ নরম্যাল দুর্গাপুজোতে চোখের মেকআপে থাকছে বেশি গুরুত্ব।
চোখ মেকআপের আগে ভাল করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নেবেন, যাতে কোনওরকম সংক্রমণের আশঙ্কা না থাকে।
চোখের নীচে ডার্ক সার্কল থাকলে চলবে না। চোখ ড্রামাটাইজ করতে উপরে ও নীচে আলাদা রঙের আই পেনসিল ব্যবহার করতে পারেন।
চোখের তলায় গোল্ড আইশ্যাডো লাগালে চোখ বড় দেখায়। একাধিক টানে অর্থাৎ মাল্টিপল স্ট্রোকসে ভুরু আঁকুন, সুন্দর দেখাবে।
চোখ সুন্দর দেখাতে নীচের পাতায় মোটা কাজলের উপর আইল্যাশের ভিতর দিয়ে নুড আই পেনসিল দিয়ে লাইন করুন। এতে চোখে ভরাট ভাব আসবে।
চোখ বড় দেখাতে ঘন মেক আপ করলে তার উপর এবড়ো খেবড়ো ভুরু দেখতে খুবই খারাপ লাগবে। আবার ঘন কালো, গভীর চোখের উপর সুন্দর আঁকা ভুরু সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেবে।
পার্লারে গিয়ে ভুরু প্লাক না করতে চাইলে ট্রিমারেও ট্রিম করতে পারেন। আই ব্রো ট্রিমার মিলবে অনলাইনেই। শুধু সাবধানে ব্যবহার করতে হবে।
যদি চোখের নীচে কালি থাকে, তা হলে চোখ দেখতে আরও ছোট ও ক্লান্ত লাগে। মেক আপ শুরুর আগে কনসিলার দিয়ে চোখের কোলের কালি ঢেকে নিন। এতে চোখ দেখতে কিছুটা বড় লাগবে। কালি পড়া চোখে কাজল লাগালে দেখতে আরও ক্লান্ত লাগবে।
মেকআপ আর্টিস্টদের মত, সাদা বা হালকা আইশ্যাডো ব্যবহার করুন। আইশ্যাডোর রং যত হালকা হবে, চোখ দেখতে তত বড় লাগবে।
বাইরের দিকে গাঢ় রঙের আইশ্যাডো লাগালেও চোখের ভিতরের কোলে হালকা আইশ্যাডো লাগান। সাদা, সিলভার, গোল্ডেন বা ব্রোঞ্জ আইশ্যাডো ব্যবহার করুন।
ঘন করে অন্তত দুই থেকে তিন কোট মাস্কারা লাগান। ফলস আইল্যাশ এ বছর ব্যবহার না করাই ভাল। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে।
গোটা চোখ জুড়ে মোটা আইলাইনার লাগাবেন না। চোখের নীচের অংশে চোখের পাতা বা আইল্যাশের ভিতর দিকে আইলাইনার লাগাবেন না। আইল্যাশের বাইরে দিয়ে লাগান। চোখের কোল পর্যন্ত টানবেন না। তার একটু আগে পর্যন্ত রেখা টানুন।