সেদিনও ছিল আসছে আসছে... দেখতে দেখতে হঠাত্ই সব শূন্য করে উমার ফিরে যাওয়ার দিন এসে গেল। মহোত্সব শেষ। নবমীর রাত ভোর হতে না হতেই শরতের আকাশে বিষণ্ণ আলো ছড়িয়ে পড়েছে। মনের ঢাকে বিষাদকাঠি। মর্ত্যভূমের বাপের বাড়ি ছেড়ে উমা ফিরে চললেন শিবের কাছে।
দশমী তিথি পড়ে যাওয়ায়, বাড়ির পুজোর অনেকগুলোরই বিসর্জন হয়ে গিয়েছে দিনের আলো থাকতে থাকতে। তার আগে সিঁদুর খেলায় লাল হয়েছে পুজোমণ্ডপ। মন খারাপের ছন্দ ভেঙে দিতে বাড়ি বাড়ি মিষ্টিমুখ। আবার তো এক বছরের অপেক্ষা। আবার এসো মা। ভাল থেকো, ভাল রেখো।
এ বারের পুজো জুড়েই ছিল রোদ-বৃষ্টির খেলা। তবে মাঝে মধ্যে জল ঢাললেও, উত্সবের আলোয় অবশ্য বড় আঘাত দেয়নি আবহাওয়া। দশমীর সকাল থেকেও কলকাতা বা আশপাশের আকাশ মোটামুটি পরিষ্কারই ছিল।
দিন ঢলতে শুরু করার সময় থেকেই, ভিড় বাড়তে শুরু করেছে ঘাটে ঘাটে। কেউ বিসর্জন দিতে এসেছেন, কেউ এসেছেন দেখতে। আনন্দ আর দুঃখে মাখা এও যেন এক মেলার রূপ।
কলকাতা শহরের অধিকাংশ বড় পুজোরই বিসর্জন হয় দশমীর পর। শুক্রবার রেড রোডে সরকারি কার্নিভালের মধ্যে দিয়ে এ বার শেষ হবে বিসর্জন পর্ব।
অন্যদিকে মঙ্গলবার রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিমার সংখ্যাও বেড়ে চলেছিল গঙ্গার তীরে বাবুঘাটে। রীতি নীতি মেনেই চলছিল সমস্ত কাজ।
মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ কর্মী। গঙ্গার ঘাট মুড়ে দেওয়া হয়েছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায়।