টেলিভেশন ও সিনেমা দুই ক্ষেত্রেই দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন সায়নী ঘোষ। শুধু অভিনয় নয়, উপস্থাপনাতেও সাবলীল তিনি। পুজোর আগে তাই কাজে ঠাসা তাঁর রুটিন।
তবে এর মধ্যেই পুজো নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা তো আছেই। যদিও কাজ নিয়ে রীতিমতো সিরিয়াস সোহিনী চাইছেন পুজোর আগের দিন পর্যন্ত কাজেই ফোকাসড থাকতে।
ইতিমধ্যেই 'আড্ডা' -তে তাঁর কাজ নজর কেড়েছে দর্শকদের। তা নিয়ে খুশি সায়নীও। অঞ্জন কাঞ্জিলালের পরিচালনায় সম্প্রতি ছবি করলেন 'সহবাসে'। তাঁর সঙ্গেই এই ছবিতে দেখা যাবে ইশা, রাহুল আর অনুভব কাঞ্জিলালকে।
পুজোর পর মুক্তি পেতে চলেছে সায়নীর আর একটি ছবি, অভিরূপ ঘোষ পরিচালিত 'ব্রহ্মদৈত্য'। এই ছবিতে একটি বিশেষ ভূমিকায় রয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ।
তবে এত কাজের মাঝেও কেনাকাটাটা প্রায় সারা বছর ধরেই সারেন সায়নী। জানালেন, ‘‘এমনিই সারা বছর ধরেই নানা অনুষ্ঠানে যেতে হয়, তাই নতুন জামাকাপড় লাগেই। তবে এ বার সারা দেশেই একটা আর্থিক মন্দা চলছে, তাই সাধারণত বাজারে ভিড় কম বলেই মনে হচ্ছে।’’
পুজোয় কাছের কিছু বন্ধু আর পরিবারের সঙ্গই বেশি পছন্দ সায়নীর। বাবা খুব একটা ভিড়ভাট্টা পছন্দ না করলেও মায়ের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরবেন সায়নী। তাঁদের সঙ্গে থাকবে বাড়ির আদরের পোষ্য র্যাঞ্চো।
সপ্তমীর দিনটা রেখেছেন ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুদের জন্য। কৌশিক রায়, অঙ্কিতা চক্রবর্তী, প্রসেন এঁদের সঙ্গেই জমিয়ে আড্ডা দেবেন। শিলিগুড়ির বাসিন্দা এক শিশুও এ বার পুজোয় অভিনেত্রীর বাড়িতে থাকছে, তাকে প্রথম বার কলকাতার পুজো দেখানোর দায়িত্ব সায়নীরই।
সায়নী বেশ পরিচিত ও জনপ্রিয় হওয়ায়, পুজোতেও কিছু বাড়তি দায়িত্ব থাকছে বইকি! পুজোর মধ্যে তিন-চারটি জায়গায় অতিথি হয়ে তো যাবেনই, আবার বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও স্টলের হয়েও উপস্তিত থাকতে হবে সায়নীকে।
তবে প্রেমে একেবারেই ‘না’ নেই সায়নীর। জানালেন, ‘‘এ বার পুজোয় প্রেমটা বেশ একটু বেশিই হবে সকলের। আসলে অনেকটা সময় পাওয়া যায় তো! মানুষ একটু রোমান্টিক হয় এ সময়। কাজের ঝঞ্ঝাটও কম থাকে। বলা যায় না আমারও প্রেম হয়ে যেতে পারে।’’