দুই দেশেই তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা বিপুল। অভিনয়ের গুণ আর পেশাদারিত্বের দাপটে তিনি পরিচালক থেকে সহ-শিল্পী সকলেরই প্রিয়। জয়া আহসান। পুজোর মুখেও ছবির শুটিং, ফোটোসেশন সব কিছু নিয়ে ছিলেন ভীষণ ব্যস্ত।
ব্যস্ততার মধ্যেও ‘আনন্দবাজার ডিজিটাল’-এর সঙ্গে ভাগ করে নিলেন পুজোর পরিকল্পনা ও পরবর্তী ছবির কথাও। জানালেন, পুজোর আগে কলকাতা ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। ঢাকায় ফিরেই পুজোর আনন্দ উপভোগ করছেন অভিনেত্রী।
পদ্মাপারও দুর্গাপুজো উপলক্ষে সেজে ওঠে। ঢাকায় নামকরা কিছু পুজো মণ্ডপে জয়া যাবেন, তবে বেশির ভাগ সময়টাই তাঁর কাটবে নিজের কম্পাউন্ডের দুর্গাপুজোতেই।
বাড়ির নীচেই এই দুর্গাপুজো নিয়ে জয়া খুবই উত্তেজিত। ঢাকার অন্যতম সেরা পুজো এটি। বিশাল প্রতিমা ও তার সাজপোশাক দেখতে নানা জায়গা থেকেই দর্শনার্থীরা ঢুঁ মারেন এখানে।
অভিনেত্রীর মোড়ক ছেড়ে সেখানে জয়া একেবারে ঘরের মেয়ে। হাতে হাতে সারবেন পুজোর কাজও। তবে সন্ধেয় বেরবেন বেশ কয়েকটি মণ্ডপে। কয়েকটি জায়গায় অতিথি হিসাবেও যাওয়ার আছে। তবে সে সবের ফাঁকে নিজের জন্যও কিছুটা সময় রাখছেন অভিনেত্রী।
জয়া এমনিতেই খেতে ভালবাসেন। তার উপর উৎসব মানেই খাওয়াদাওয়া আর আড্ডা। তাই পুজোর ক’দিন ডায়েট থেকে একেবারে ছুটি। বরং মনের মতো রান্না পাতে পেতেই এই ক’দিন পছন্দ করেন অভিনত্রী। পুজোয় ইলিশ থাকছেই!
তবে পুজোর পরেই ফের ব্যস্ততা বাড়বে তাঁর। নতুন ছবির কাজ শুরু হবে পুজোর পরেই। যদিও এখনই সেই ছবি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ তিনি।
পুজোর ক’দিন নিজের জন্য কিছুটা সময় তাই রাখবেনই। পছন্দের বই পড়া, পছন্দের গান শোনা এগুলোই তাঁর পুজোর অবকাশের প্রথম পছন্দ।
পুজোয় কাছের মানুষ আর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাও দেবেন তিনি। পুজোর সময়ের এই আড্ডাগুলোই তাঁর সারা বছরের এনার্জি জোগান দেয়।