নবমীনিশিতে বাঙালি যেন শেষ মুহূর্তের উৎসবের সবটুকু আনন্দ লুটেপুটে নিতে চায়। শুধু কলকাতাতেই নয়, বাঙালির এই উদ্দীপনার ছবিটা গোটা বিশ্বেই এক। পুজোয় পিছিয়ে নেই প্রবাসও। বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অব সিঙ্গাপুরের পুজোয় ধরা পড়ল সেই ছবিই।
এ বছর এই পুজো উদ্বোধনের জন্য সিঙ্গাপুরে আমন্ত্রিত ছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। প্রদীপ জ্বালিয়ে এই পুজোর সূচনা করেন তিনি।
উদ্বোধের পর সকলের সঙ্গে হইহুল্লোড় ও আনন্দে মেতে উঠেছিলেন ঋতুপর্ণা। পুজোপ্রাঙ্গন মেতে ওঠে তাঁর উপস্থিতিতে। ঢাক বাজিয়ে সকলের মন জয় করেন।
প্রায় চল্লিশ বছর ধরে চলে আসছে নাইজেরিয়ার লাগোসে দেবীবন্দনা।
পুজোর আনন্দে সেখানে মাতোয়ারা কচিকাঁচার দল। খাওয়াদাওয়া, আড্ডার আমেজে মজে আছেন এখানকার অধিবাসীরা। এ যেন বাংলার কলকাতার দুর্গা পুজোরই একটুকরো ছবি।
লাগোসে দুর্গা পুজোয় প্রতিমাতেও রয়েছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। থিম নয়, সাবেক পুজোর মধ্যেও অভিনব ভাবনার স্ফূরণ ঘটেছে এখানে।
পুজোর আয়োজন ফোটোসেশন ছাড়া অসম্পূর্ণই রয়ে যায় । তাই পুজো কমিটির সদস্যরা একজোটে ছবি তোলায় মেতে ওঠেন সকলে।
প্রবাসে দুর্গা পুজোর আয়োজনে পিছিয়ে নেই সান দিয়েগোও । সেখানে মণ্ডপসজ্জার কাজে অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্যরাই।
পুজোর কাজ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন সকলে। ভোগ বিতরণ থেকে বিসর্জন— সব খুঁটিনাটি দিকেই থাকে তাঁদের কড়া নজর।
অষ্টমীর সকালেও দেবী আরাধনায় মগ্ন ছিলেন সান দিয়েগোর বাঙালিরা। পরনে বাঙালি পোশাক আর সংস্কৃত মন্ত্রে বিদেশ-বিভুঁই যেন এক খণ্ড দেশ।
নিউ ইয়র্ক কালী মন্দিরের দুর্গা পুজো এ বার পনেরো বছরে পা দিল । প্রবাসে হলেও সব রকম নিয়ম মেনেই এখানে দুর্গোৎসব পালিত হয় ।
পুজোর সঙ্গেই থাকে জমিয়ে খাওয়াদাওয়ারও আয়োজন। বাসিন্দারা এই চার দিন পুজো মণ্ডপেই ভোজ সারেন।
উত্তর মিউনিখে অবস্থিত প্রশস্ত সভাগৃহে আয়োজিত হয়েছে এই পুজো। কলকাতার কুমোরটুলির অমরনাথ ও কৌশিক ঘোষের তৈরি প্রতিমাই এ বার তাদের বিগ্রহ।
মিউনিখে বসবাসকারী ভারতীয় এবং বাংলাদেশের বাঙালিরা সম্মিলিত ভাবে এই পুজোর আয়োজন করেছেন।
গান, নাচ, খাওয়াদাওয়া, অঞ্জলি, ফোটোসেশন আর প্রাণভরা আনন্দে জমে গিয়েছে মিউনিখের প্রথম বছরের দুর্গোৎসব।
‘বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অব ফিনল্যান্ড’ দ্বারা আয়োজিত দুর্গা পুজো এ বছর একুশে পা দিল। শনিবার ও রবিবার পুজোর প্রধান দিন হলেও মণ্ডপ সজ্জা ও আনুষঙ্গিক কাজকর্ম শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছি
এই পুজোয় এ বছরের পুজোর থিম ছিল পথের পাঁচালী। এর পাশাপাশি আরও দুটি পুজো কমিটি 'পূজারী' ও 'মহামায়া' একই সময়ে পুজোর আয়োজন করে।
দুর্গা পুজো উপলক্ষে বাঙালি পোশাকে সজ্জিত কৌতূহলী বিদেশীদেরও উৎসাহ নজর কাড়ে। অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি থেকে দশমীর সিঁদুর খেলার আনন্দ সবটাই পর্যাপ্ত ভাবে নিয়ে থাকেন এখানকার বাঙালিরা।