বৃষ্টি মাথায় করেই ভিড় জমেছে কলকাতার বিভিন্ন মণ্ডপে। তবে পিছিয়ে নেই প্রবাসী বাঙালিরাও। শারদ উৎসবের টানে ইতিমধ্যেই কলকাতায় ছুটে এসেছেন অনেকে। তবে যাঁদের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি, বিদেশেই একটুকরো বঙ্গদেশ তৈরি করে ফেলেছেন তাঁরা। পুরোদমে দেবীর আরাধনা চলছে সেখানে। বিদেশের এমনই কিছু পুজোর হালহকিকত রইল আপনাদের জন্য।
হলিউড ছবির দৌলতে টেক্সাস এবং ডালাসের সংস্কৃতি সম্পরর্কে একটা ধারণা রয়েইছে। তবে সে সবের ধারও মাড়ায়নি ডালাসে বাঙালিদের সংগঠন ‘আন্তরিক’।
পুরোদস্তুর বাঙালি রীতিনীতি মেনেই দুর্গাপুজো হয়েছে সেখানে। কলাবউ পুজো থেকে ভোগ বিতরণ সবেতেই অংশ নিয়েছেন সেখানকার বাঙালিরা।
ঝাঁ চকচকে দুবাইয়ের বাঙালিরা পুজো করেছেন ছিমছাম ভাবেই।
পুজো, খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন হয়েছিল। দলবেঁধে তাতে অংশ নিয়েছিলেন মহিলারা।
ইস্ট বেঙ্গালুরু কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের পুজোতেও প্রতি বছরের মতো এ বছরও মেতে উঠেছিলেন বাঙালিরা। প্রবাসে থেকেও যে পুজোর বাঙালিয়ানা এ ভাবে ধরে রাখে যায়, এখানকার পুজো তার অন্যতম প্রমাণ। বেঙ্গালুরুর এই পুজো ঘিরে তাই চারটে দিন বাঙালিয়ানা লুটেপুটে নিতেই ভালবাসেন এখানকার বাসিন্দারা।
লস অ্যাঞ্জেলেস বলতেই হলিউড এবং বেভারলি হিলসের ঝাঁ চকচকে দুনিয়া ভেসে ওঠে চোখের সামনে। সেই গ্ল্যামারের ছটার মধ্যেই গত ৩৫ বছর ধরে দুর্গাপুজো করে আসছেন সেখানকার বাঙালিরা।
এই সুদূর প্রবাসেও বাঙালি তার সাবেকিয়ানা ছাড়তে পারেনি। তাই লস অ্যাঞ্জেলস ‘দক্ষিণী’র এ বছরের থিম ‘সাধনা’। বিভিন্ন রকম সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে সেখানে। তাতে অংশ নিয়েছেন ছোট-বড় সকলেই।
স্কটল্যান্ডের এডিনবরায় এ বছর পুজো ছিল দেখার মতো। রীতি মেনে কুমারী পুজোও হয়েছে সেখানে।
পুজো শেষে পুরোহিতের কোলে কুমারী ‘দুর্গা’।
তবে শুধু বাঙালিরাই নন, এডিনবরায় শাবাশ পুজো কমিটির পুজোয় অংশ নেন সে দেশের বাসিন্দারাও।
কর্মসূত্রে ওমানে রয়েছেন প্রচুর বাঙালি। তাঁদের মধ্যে ৩৫টি পরিবার গত তিন বছর ধরে দুর্গাপুজো করে আসছে। হুগলির চুঁচুড়া থেকে প্রতিমা যায় সেখানে।
সিঙ্গাপুরে দুর্গাপুজোর আয়োজন করে বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন।
ইংল্যান্ডের বার্মিংহ্যামে বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের দুর্গাপুজো।
দক্ষিণ ইয়র্কশায়ারের ছবির মতো সুন্দর শহর বার্ন্সলিতে শেফিল্ডের দুর্গাপুজো হয়। এ বছর পুজোর ৩০ বছর পূর্তি। কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা গিয়েছে। পাঁচ দিন ধরে পুজো সেখানে।
লন্ডন শারদ উৎসবের দুর্গাপুজো এ বছর ১১-য় পা দিল। ৫০টি পরিবার মিলে এই পুজো আয়োজন করেন। প্লাস্টিক বর্জনের বার্তা দিতে এ বছর ‘গ্রিন দুর্গাপুজো’ করছে তারা।
লন্ডনের পশ্চিমে বার্কশায়ার কাউন্টির স্লাও শহরে বাঙালিরা এক সঙ্গে মিলে গড়ে তুলেছে তাদের পুজোর ক্লাব ‘আড্ডা’। এই প্রথম দুর্গাপুজো হচ্ছে সেখানে।প্রতিমা এসেছে শেফিল্ড থেকে। প্রতিমা বসানো হয়েছে নৌকোর উপর। কলকাতার দ্বিতীয় হুগলি সেতুর একটি রেপ্লিকাও রাখা হয়েছে তার পাশে।
বাকিংহ্যামশায়ারের মিচ্যাম শহরের একটি ব্যাঙ্কোয়েট হলে দুর্গাপুজো হয়। গত ৪০ বছর ধরে সেখানে পুজো করছেন প্রবাসী বাঙালিরা। আজও এই পুজোয় বীরেন্দ্রকিশোর ভদ্রের চণ্ডীপাঠ বাজানো হয়।
দক্ষিণ লন্ডনের অরপিংটনেও পুজো হয়েছে সাবেক মতে।